শনিবার আর্মেনিয়া সেখাকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের কাছে নালিশ জানিয়েছে।
Published : 17 Jan 2024, 05:14 PM
আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর আকস্মিক অভিযানে পরাজিত আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আত্মসমর্পনের পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও নাগোর্নো-কারাবাখে এখনো হাজারো বেসামরিক নাগরিককে খালি পেটে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে।
দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের পাহাড়ি এই ভূখণ্ড নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ আর্মেনীয় এবং তিন দশক ধরে জাতিগত আর্মেনীয়রা ওই ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণে করে আসছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী নাগোর্নো-কারাবাখে বড় ধরনের অভিযান চালায়। তাতে ১০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ প্রায় দুইশ আর্মেনীয় নিহত হন। আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের দখল পায়। এখনো সেখানে সড়কগুলোতে ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছেন আজারবাইজানের সেনা সদস্যরা।
এদিকে, যুদ্ধে গৃহহীন হয়ে পড়া হাজারো মানুষ খাবার ও আশ্রয়হীন অবস্থান দিন পার করছে বলে জানিয়েছেন আর্মেনীয় নেতারা। যুদ্ধের পর সেখানে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রসের একটি মাত্র বহর ৭০ টন খাবার নিয়ে পৌঁছেছে। রাশিয়া ত্রাণ পাঠানোর কথা বললেও তার পরিমাণ কত হবে তা জানা যায়নি।
শনিবার আর্মেনিয়া সেখাকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের কাছে নালিশ জানিয়েছে। বলেছে, নাগোর্নো-কারাবাখের আর্মেনীয়রা এখন অস্তিত্বের সংকটে রয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আজারবাইজান। তারা বলেছে, তারা সেখানকার জাতিগত আর্মেনীয়দের আজারবাইজানের সমান নাগরিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
এজন্য তারা জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনীকে নিরস্ত্র করতে সেখানে থাকা রাশিয়ার শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে।
সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)