হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

হামাস একটি স্বাধীনতাকামী দল, যারা ফিলিস্তিনি ভূখন্ড এবং এর জনগণের সুরক্ষার জন্য লড়াই করছে- বলেছেন রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স।

গাজায় সংঘর্ষ নিয়ে এ যাবৎকালের সবচেয়ে জোরাল বক্তব্য রেখেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের হামাস কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, বরং তারা একটি স্বাধীনতাকামী দল, যারা ফিলিস্তিনি ভূখন্ড এবং এর জনগণের সুরক্ষার জন্য লড়াই করছে।

বুধবার তুরস্কের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে এরদোয়ান একথা বলার পাশাপাশি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করারও আহ্বান জানান। ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধ হামলায় সমর্থন দেওয়ার জন্য এরদোয়ান পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ইসরায়েলের জন্য পশ্চিমারা যে মায়াকান্না কাঁদছে তা একধরনের শঠতা।

পশ্চিমারা হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে দেখায় এর তীব্র সমালোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, “হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এটি মুক্তিকামী একটি ‘মুজাহিদিন’ গোষ্ঠী, যারা নিজেদের ভূমি এবং মানুষকে রক্ষায় লড়ছে।”

তুরস্কের নেটো মিত্রদেশগুলোর বেশিরভাগই হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে। তাই এই গোষ্ঠীকে নিয়ে এরদোয়ানের মন্তব্যের তাৎক্ষণিক পাল্টা জবাব এসেছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও সালভিনির কাছ থেকে। তিনি হামাসকে মারাত্মক একটি বিপ্লবী গোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এই গোষ্ঠীটি সহিংসতা কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখেনি।

এক চিরকুটে সালভিনি লেখেন, “আমি আমার সহকর্মীকে (পররাষ্ট্রমন্ত্রী ) আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি পাঠানো এবং তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করতে বলব।”

গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামাসের হামলার নিন্দা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তবে একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকেও সংযতভাবে আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কের সৎ উদ্দেশ্যর সুযোগ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছেন এরদোয়ান। তুরস্ক এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে টান টান উত্তেজনার সম্পর্ক মেরামতে কাজ করে এসেছেন। কিন্তু এখন গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে তিনি তেল আবিবে সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।