ইউক্রেইনকে অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার বিরুদ্ধে বার্লিনে বিক্ষোভে হাজারও মানুষ

ব্রান্দেনবর্গ গেইটের কাছে হওয়া এই বিক্ষোভে অন্তত ১০ হাজার মানুষ অংশ নেন, বলছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2023, 04:27 AM
Updated : 26 Feb 2023, 04:27 AM

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেইনকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের প্রতিবাদে জার্মানির বার্লিনে এক বিক্ষোভে অন্তত ১০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ।

শনিবার, রাশিয়ার ইউক্রেইন অভিযান শুরুর বর্ষপূর্তির একদিন পর, বার্লিনের কেন্দ্রস্থলের ব্রান্দেনবর্গ গেইটের কাছে এই বিক্ষোভ হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এই বিক্ষোভ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জার্মান সরকারের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা; বিক্ষোভ যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য শনিবার বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল।

বামপন্থি রাজনীতিকদের ডাকা বিক্ষোভের আগেই ইউক্রেইন যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে কিইভের পশ্চিমা মিত্ররা তাদেরকে আরও অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার অঙ্গীকারের পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে।

“অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ানো হচ্ছে, তা বন্ধে জার্মান চ্যান্সেলরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এখনি (অস্ত্র সরবরাহ) বন্ধ করুন। কেননা, প্রতিদিন হাজারও প্রাণ যাচ্ছে, এবং আমাদেরকে ক্রমশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে,” ওয়েবসাইটে এমনটাই বলেছেন বিক্ষোভের আয়োজকরা। 

“শান্তির জন্য জেগে ওঠো’ নামের এই বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক ছিলেন সাহরা ওয়াগেননেখট, তিনি জার্মানির বামপন্থি ডি লিংকে পার্টির সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি তাদের যে মিত্ররা ইউক্রেইনে এখন সবচেয়ে বেশি অস্ত্রশস্ত্র পাঠাচ্ছে, জার্মানি তার অন্যতম।

“আলোচনা, উত্তেজনা নয়,” এমনটাই দেখা গেছে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজনের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে, ভিড়ের মধ্যে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, “আমাদের যুদ্ধ নয়”।

পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, শনিবারের বিক্ষোভে অন্তত ১০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সামরিক উর্দি, রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকা, রুশ সামরিক সঙ্গীত ও ডানপন্থি প্রতীকের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে এক হাজার ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। 

তবে এদিনের বিক্ষোভে ডানপন্থি কোনো গোষ্ঠী অংশ নেয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মুখপাত্র। বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডার বলেছেন, এই ধরনের বিক্ষোভের বিরোধিতা করা উচিত।

“যে ইউক্রেইনের পক্ষে নেই, তার অবস্থান ইতিহাসের ভুল দিকে,” টুইটে এমনটাই লিখেছেন তিনি।