লন্ডনের রাশিয়ান দূতাবাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও তাতে কান না দিয়ে ইউক্রেইনকে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক এবং অত্যাধুনিক কিছু কামান গোলা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
চ্যালেঞ্জার-২ যুক্তরাজ্যের প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক, এগুলো মূলত শত্রুপক্ষের ট্যাংকে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই বানানো হয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে ব্রিটিশ বাহিনী এটি ব্যবহার করছে। বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়া, কসোভো ও ইরাকেও এই ট্যাংক মোতায়েন হয়েছে।
আসছে সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেইনেও ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২’র একটি স্কোয়াড্রন আর ৩০টির মতো স্ব-চালিত এএস৯০ কামান যাচ্ছে, শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে ইউক্রেইনজুড়ে রাশিয়ার ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে নিপ্রোতে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে এক হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮তে পৌঁছেছে বলে রোববার জানিয়েছেন নিপ্রোপেত্রোভস্কের গভর্নর ভেলেন্তিন রেজনিশেঙ্কো।
নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে।
অন্তত ৭৩ জন আহত, তাদের মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিদের মধ্যে ৪ জন নিবিড় পর্যবেক্ষণে, বলেছেন রেজনিশেঙ্কো।
“উদ্ধারকাজ চলছে। ৪০ জনের ভাগ্য এখনও অজানা,” বলেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেইনের যেসব এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি, সেসব এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রগতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের পর যুক্তরাজ্যও ইউক্রেইনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও সমরাস্ত্র দিচ্ছে। এ পদক্ষেপ জার্মানির ওপরও কিইভকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দেওয়ার চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা শিগগিরই চ্যালেঞ্জার-২ ও এএস৯০ কামান চালাতে ইউক্রেইনীয় বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করবে।
লন্ডনের রুশ দূতাবাস এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, এই ট্যাংক যুদ্ধের ময়দানে ফল বদলাতে ভূমিকা রাখতে পারবে না, কেবল সংঘাত দীর্ঘায়িত করবে, যার কারণে আরও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হবে।
“ইউক্রেইন সংঘাতে লন্ডন যে ক্রমেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে, এটা তার প্রমাণ,” বলেছে তারা।