ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার পক্ষে মদোভার প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দিতে এ সমাবেশে যোগ দিয়েছে ৭৫ হাজার মানুষ।
Published : 22 May 2023, 07:36 PM
মলদোভার রাজধানী কিসিনাউয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পন্থি এক বিশাল সমাবেশ হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মায়া সান্দু এ সমাবেশ আয়োজন করেছেন।
ইইউ তে যোগ দেওয়ার পক্ষে প্রেসিডেন্ট সান্দুকে সমর্থন দিতে এই সমাবেশে যোগ দিয়েছে আনুমানিক ৭৫ হাজার মানুষ।
সান্দুর পশ্চিমাপন্থি সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে মলদোভার রুশপন্থি বিরোধীদল সোর পার্টিকে সমর্থন দিয়ে উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করেছে।
তবে রাশিয়া মলদোভার অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট সান্দু বলেন, তার দেশ আর আলাদা হয়ে থাকতে চায় না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আর ইউরোপের উপকণ্ঠে থাকতে চাই না।” মলদোভা ২০৩০ সাল নাগাদ ইইউ সদস্য হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন সান্দু।
সমাবেশে তিনি বলেন, মলদোভা ক্রেমলিনের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে চায় না। সমাবেশে যোগ দেওয়া জনতা এ সময় ইইউ পতাকা ওড়ায় এবং ইউরোপের পক্ষে স্লোগান দেয়।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই উদ্বেগে পড়েছে ইউরোপের ছোট্ট দেশ মলদোভা।
পূর্ব ইউরোপে ইউক্রেইনের দক্ষিণপশ্চিম সীমান্ত বরাবর মলদোভার অবস্থান। অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটিতে একটি অভ্যুত্থান ঘটানোর পেছনে মদদ দিচ্ছেন, যা দেশটিকে চলমান যুদ্ধে টেনে নিতে পারে।
মলদোভার প্রেসিডেন্ট মায়িয়া সান্দু অভিযোগ করেছেন, সাধারণ নাগরিকের বেশে রাশিয়ার ‘ষড়যন্ত্রী’রা রাজনৈতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদদ দিচ্ছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও একই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
স্থল সীমান্ত বেষ্টিত মলদোভার একটি অংশে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি রয়েছে এবং আশঙ্কা বাড়ছে যে ইউক্রেইনের ক্রিমিয়ার মতো ওই অঞ্চলটিকেও রাশিয়ার অংশ করে নেওয়ার একটি প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করার চেষ্টায় আছেন পুতিন।
এমন আশঙ্কার মধ্যে ২৭ সদস্যদেশের জোট ইইউয়ের সদস্য হতে গত বছর ইউক্রেইনের পাশাপাশি মলদোভাও আবেদন করেছে। মলদোভা ও ইউক্রেইন দু’দেশই ইইউয়ের সদস্য হতে জোরাল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র মলদোভার জনসংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। ইউক্রেইন যুদ্ধের আঁচ এ দেশটিতেও লেগেছে। কয়েকবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মলদোভার আকাশসীমা পেরিয়ে ইউক্রেইনে পড়েছে। দেশটি রাশিয়ার গ্যাসের ওপরও নির্ভরশীল।
রোববারের সমাবেশে ইউরোপের পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট রবার্তা মেতসোলা জনতার উদ্দেশে ভাষণে রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য তাদের প্রশংসা করেন।
বিবিসি-কে তিনি বলেন, “ইইউ খোলা মনে হাত বাড়িয়ে দিয়ে মলদোভাকে স্বাগত জানাবে এবং মলদোভাকে নিয়ে ইউরোপ আরও শক্তিশালী হবে।”