নিষেধাজ্ঞা আরোপিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে- লোহা, ইস্পাত, সার, নির্মাণ সামগ্রী ও বিমানের জ্বালানি। ইসরায়েলও তুরস্কের পণ্যে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে জানিয়েছে।
Published : 09 Apr 2024, 05:58 PM
গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে বেশ কিছু সংখ্যক পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আলোপ করেছে তুরস্ক। গাজায় ছয়মাসের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটিই আঙ্কারার নেওয়া প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
নিষেধাজ্ঞা আরোপিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে- লোহা, মার্বেল, ইস্পাত, সার, নির্মাণ সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও বিমানের জ্বালানি। ইসরায়েল এর পাল্টায় তুরস্কের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে জানিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের শুরু থেকে এর নিন্দা জানিয়ে আসছে তুরস্ক। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে তারা। গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিচারের দাবিকেও তুরস্ক সমর্থন দিয়েছে এবং গাজায় হাজার হাজার টন সাহায্য পাঠিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলে আসলেও তুরস্ক দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। এ বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তুরস্কের ভেতরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি উড়োজাহাজ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলার তুরস্কের অনুরোধ ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করে। এরপরই ইসরায়েলের পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল তুরস্ক।
তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শ্রেণির ৫৪টি পণ্য রপ্তানিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
“যতক্ষণ পর্যন্ত না ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে জরুরি ভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে এবং অবাধে মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ততক্ষণ এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে,” বলা হয় বিবৃতিতে।
এর জবাবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “তুরস্ক একতরফাভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। হামাসকে সমর্থন দিতে তুরস্ক আবারও নিজ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আমরা এর পাল্টা জবাব দেব।”