কোস্টগার্ডের এয়ারক্র্যাফ্টে থাকা ছয় আরোহীর মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। সেটির ক্যাপ্টেন বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন।
Published : 02 Jan 2024, 05:17 PM
জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে কোস্ট গার্ডের একটি ছোট এয়ারক্র্যাফ্টের সংঘর্ষে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
বিবিসি জানায়, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি এড়ানো গেছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির সব আরোহী সেটি থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন।
তবে কোস্টগার্ডের এয়ারক্র্যাফ্টে থাকা ছয় আরোহীর মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। সেটির ক্যাপ্টেন বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাপানের সরকারি টেলিভিশন এনএইচকে ।
মঙ্গলবারের এই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের চিত্র এনএইচকে তে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। যেখানে দেখা যায়, জাপান এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩৫০ জুড়ে আগুন জ্বলছে। অবতরণের সময় টার্মাক থেকে ছিটকে পড়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়।
দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফায়ার ফাইটারদের ব্যর্থ করে দিয়ে আগুন পুরো উড়োজাহাজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে ৩৬৭ যাত্রী ও ১২ ক্রুর সবাইকে বের করে আনা সম্ভব হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, উড়োজাহাজের কেবিনের ভেতর যাত্রীরা চিৎকার করছেন। কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ছে। কেউ কেউ উড়োজাহাজ থেকে বের হয়ে টার্মাক দিয়ে দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন।
কোস্ট গার্ড থেকে বলা হয়েছে, তাদের যে এয়ারক্র্যাফ্টটি দুর্ঘটনায় পড়েছে সেটি টোকিও থেকে ত্রাণ নিয়ে জাপানের পশ্চিম উপকূলের নিগাতা বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। উদ্দেশ ছিল বছরের প্রথম দিনে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করা।
২০২৪ সালের প্রথম দিন ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের মধ্যাঞ্চল। ভূমিকম্পের প্রভাবে পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে জুড়ে ছোট আকারে সুনামিও দেখা দিয়েছিল। ভূমিকম্পে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়।
জাপান এয়ারলাইন্স থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত তাদের উড়োজাহাজটি উত্তরের হোক্কাইদো দ্বীপের শিন-চিতোসে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা সব সংস্থাকে দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি মোবাবেলায় সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জনগণকে এ বিষয়ে সব ধরণের তথ্য জানাতে বলেছেন।
এ দুর্ঘটনার পর হানেদা বিমানবন্দরের সব রানওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র।