ইউক্রেইনকে পারমাণবিক স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দিন: রাশিয়াকে জি-৭

জেপোরোজিয়া পারমাণবিক স্থাপনা ঘিরে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতায় দুর্ঘটনার যে মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জি-৭।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 02:31 PM
Updated : 10 August 2022, 02:31 PM

বিশ্বে উন্নত অর্থনীতির সাত দেশের জোট জি-৭ গোলা হামলায় ঝুঁকির মুখে থাকা ইউক্রেইনের জেপোরোজিয়া পারমাণবিক স্থাপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অবিলম্বে দেশটির হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়াকে।

এক যৌথ ববৃতিতে জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি।

জেপোরোজিয়া পারমাণবিক প্ল্যান্ট ঘিরে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতায় দুর্ঘটনার যে মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জি-৭।

তারা বলছে, ওই প্ল্যান্টের আশেপাশে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতার কারণে পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটা এবং ইউক্রেইনের জনগণসহ আশেপাশের দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

জেপোরোজিয়া কমপ্লেক্স সেই মার্চের শুরু থেকে রাশিয়ার দখলে আছে। যদিও ইউক্রেইনের টেকিনিশিয়ানরা এখনও সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

সম্প্রতি কয়েকদিনে ওই এলাকা গোলা হামলার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। ইউক্রেইন এবং রাশিয়া গোলাবর্ষণের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। ইউক্রেইন পারমাণবিক স্থাপনাটির দুই কর্মী আহত এবং তিনটি তেজস্ক্রিয় সেন্সর ক্ষতিগস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

ইউক্রেইনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘এনারোঅ্যাটম’ এর প্রধান পেত্রো কোটিন একদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে জেপোরোজিয়া পারমাণবিক স্থাপনাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহরের অভিযোগ করেছেন।

রাশিয়ার সেনারা জেপোরোজিয়াকে সামরিক ঘাঁটি বানিয়ে ফেলছে এবং ইউক্রেইনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর জন্য স্থাপনাটিকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পেত্রো কোটিন।

তিনি বলেছেন, “এখন যা করা দরকারতা হল, ওই স্থাপনা থেকে দখলদ্বার বাহিনীকে সরিয়ে দেওয়া এবং সেখানে একটি অসামরিক জোন প্রতিষ্ঠা করা।”

রুশ সেনা উপস্থিতি জেপোরোজিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হয়ে আছে। সেখানে দুর্ঘটনাক্রমে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া এমনকী পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক করা হয়েছে। এর আগে শনিবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধানও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আশেপাশে সামরিক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলছেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা পারমাণবিক কেন্দ্রটির নিরাপত্তাও দেখভাল করতে পারছে না।