রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের দল ওয়াগনার গ্রুপে সামিল হয়ে চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেইনে যুদ্ধ করার মেয়াদ শেষ করা পাঁচ হাজারের বেশি অপরাধীকে ক্ষমা করে দিয়েছে রুশ সরকার।
ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন শনিবার এ দাবি করেন।
ওয়াগনার বাহিনী মূলত যুদ্ধ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অবসরে যাওয়া সদস্যদের নিয়ে গঠিত। গত বছরের শেষভাগে ইউক্রেইন যুদ্ধে রুশ বাহিনী যখন একের পর এক অপমানজনক পরাজয় দেখছিল তখনই রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ভূমিকায় চলে আসে এই ওয়াগনাররা।
ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন প্রিগোজিন। তিনি রাশিয়ার হাজার হাজার কারাবন্দিকে নিজ দলে সামিল হওয়ার প্রস্তাব দেন। বলেন, যদি তারা চুক্তির ভিত্তিতে ইউক্রেইনে যুদ্ধ করে তবে যুদ্ধ শেষে ফিরে আসলে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে শনিবার পোস্ট করা একটি অডিও ক্লিপে প্রিগোজিন বলেন, ‘‘ওয়াগনারের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিক যুদ্ধের মেয়াদ শেষ করায় এরইমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
প্রিগোজিনের বড় আকারের ক্যাটারিং ব্যবসা আছে। এ কারণে তাকে কেউ কেউ ‘পুতিনের শেফ’ বলে থাকেন। অবসরে যাওয়া শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক গুপ্তচর এবং অপরাধীদের নিয়ে গঠন করা প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী। ইউক্রেইন যুদ্ধে যারা এখন রাশিয়ার মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
ধনকুবের প্রিগোজিন নিজেও সোভিয়েত আমালে ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধকাণ্ডের জন্য দোষীসাব্যস্ত হয়ে নয় বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি ব্যবসা শুরু করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার সে দেশে নির্বাচনে প্রিগোজিন হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে এবং তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেছেন। ওয়াগনার প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার প্রিগোজিন পুরো বিশ্বের নজরে আসেন।
শুধু ইউক্রেইনে নয়, ওয়াগনার এর আগে লিবিয়া, সিরিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং মালিতে যুদ্ধ করেছে। তারা নিজেদের বিশ্বে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভাড়াটে সেনাদের দল বলে মনে করে।