কেউ কেউ বলছেন, এই জয় ‘সময়ের ধারা বদলে যাওয়ার লক্ষণ’। তবে অন্য অনেকেই বলছেন, এই ‘মিস জাপান’ দেখতে জাপানিদের মতো নন।
Published : 24 Jan 2024, 08:48 PM
“জাতিগত প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। জাপানি হিসাবে স্বীকৃত হওয়াটা চ্যালেঞ্জিংও বটে,"- গত সোমবার ২০২৪ সালের ‘মিস জাপান’ খেতাব জয়ের পর অশ্রুসিক্ত চোখে কথাগুলো বলছিলেন জাপানি নারী ক্যারোলিনা শিনো।
বিবিসি জানায়, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলের জন্ম হয়েছিল আদতে এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে নাগোয়ায় বেড়ে উঠেছেন তিনি।
শিনোই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসাবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয় পেয়েছেন। জাপানি নাগরিক হিসাবে এই স্বীকৃতি পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। মনে-প্রাণে নিজেকে একজন জাপানি বলেও বর্ণনা করেছেন শিনো।
তারপরও তার জাতীয় পরিচয় নিয়ে নতুন করে উস্কে উঠেছে বিতর্ক। তার ‘মিস জাপান’ খেতাব জয়ের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন স্যোশাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ বলছেন, জাপানি মা-বাবার সন্তান নন, এমন একজনকে কি করে ‘মিস জাপান’ বলা যেতে পারে?
কেউ কেউ তার জয়কে ‘সময়ের ধারা বদলে যাওয়ার লক্ষণ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে অন্য অনেকেই বলছেন, ‘মিস জাপান’ দেখতে যেরকম হওয়া উচিত, শিনো দেখতে তেমন নন।
এর আগে ২০১৫ সালে এক জাপানি মা এবং আফ্রিকান আমেরিকান বাবার সন্তান আরিয়ানা মিয়ামোতো ‘মিস জাপান’ খেতাব জয়ের পরও সেটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
এর ১০ বছর পর একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শিনোর মিস জাপান হওয়ার মধ্য দিয়ে। এবারে স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছে শিনোর বাবা-মায়ের কেউই জাপানি না হওয়ার কারণে।
এক্সে (সাবেক টুইটার)- এক পোস্টে একজন লিখেছেন, “এই ব্যক্তি (ক্যারোলিনা শিনো) যাকে মিস জাপান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে- তিনি এমনকী মিশ্রভাবেও জাপানি রক্তের নন, বরং একশত ভাগ ইউক্রেইনীয়। মানলাম তিনি সুন্দরী। কিন্তু এটি ‘মিস জাপান’ খেতাব। তার জাপানি ভাবটা কোথায়?”
আরেকজন লিখেছেন, “তিনি যদি অর্ধ জাপানিও হতেন, তাতেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু জাতিগতভাবে তিনি শুন্য শতাংশ জাপানি। তার জন্মও জাপানে নয়।”
অন্যান্যরা বলছেন, শিনোর জয় দেশের অন্যান্য মানুষদের কাছে ‘ভুল বার্তাই’ বহন করছে। দেখতে ইউরোপীয় একজনকে সবচেয়ে সুন্দরী জাপানি নারী বলা হচ্ছে।
জন্মসূত্রে ইউক্রেনীয় একজন মডেলকে মিস জাপান খেতাব দেওয়াটা রাজনৈতিক কোনও সিদ্ধান্ত কিনা তেমন প্রশ্নও তুলেছেন অন্য অনেকেই।
একজন বলেছেন, “তিনি (শিনো) রাশিয়ান হলে এই খেতাব জিততেন না। কোনও সুযোগই ছিল না। নিশ্চয়ই তাকে এই খেতাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক। জাপানের জন্য এ এক দুঃখের দিন “