“বেশিদিন যে বাকি নেই, রাশিয়াকে তা অনুধাবন করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ,” বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।
Published : 11 Jun 2023, 09:55 AM
রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলো ফেরত নিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইউক্রেইনের পাল্টা-আক্রমণ যে শুরু হয়েছে ভলোদিমির জেলেনস্কি তা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
“পাল্টা আক্রমণ ও প্রতিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ড চলছে,” শনিবার কিইভে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কয়েকদিন আগেই মার্কিন দুই গণমাধ্যম ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরকার সূত্রের বরাত দিয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিইভের পাল্টা-আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল। সেসময় ইউক্রেইন আনুষ্ঠানিকভাবে তা অস্বীকার করেছিল।
পাল্টা-আক্রমণ শুরুর কথা জানালেও সেটি এখন কোন পর্যায়ে আছে জেলেনস্কি তার বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
ইউক্রেইনের দক্ষিণে ও পূর্বে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার পর ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য এল। তবে এই দফার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কারওই বড় কোনো সফলতার খবর মেলেনি।
কিইভ বাহিনী বলছে, তার পূর্বাঞ্চলে বাখমুতের কাছে এবং জাপোরিজিয়ার কাছে দক্ষিণে সামান্য এগিয়েছে এবং রুশ লক্ষ্যবস্তুতে দূরপাল্লার আঘাত হানছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে কী হচ্ছে, তা যাচাই করা এমনিতেই কঠিন। তার ওপর দুই পক্ষই ভিন্ন ভিন্ন ভাষ্য দিচ্ছে।
ইউক্রেইনের অগ্রগতির দাবির বিপরীতে রাশিয়া বলছে, তারা কিইভবাহিনীর জোরাল আক্রমণ কেবল প্রতিহতই করেনি, বিপুল পরিমাণ ইউক্রেইনীয় সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
প্রতিরাতে ইউক্রেইনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাও অব্যাহত আছে।
শুক্রবার প্রচারিত এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেইনের আক্রমণ শুরু হয়েছে এবং তাদের অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার কিইভে জেলেনস্কি রুশ নেতার কথাবার্তাকে ‘আগ্রহোদ্দীপক’ অ্যাখ্যা দেন।
কাঁধ ঝাঁকিয়ে, ভ্রু তুলে, পুতিনকে চেনেন না এমন ভাব করে জেলেনস্কি বলেন, “বেশিদিন যে বাকি নেই, রাশিয়াকে তা অনুধাবন করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
ইউক্রেইনের সামরিক কমান্ডাররা যে খোশমেজাজে আছে তা রুশ প্রেসিডেন্টকে জানাতেও বলেন তিনি।
অঘোষিত সফরে ইউক্রেইন গিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো কিইভের জন্য ৫০ কোটি ডলারের নতুন সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
দুই নেতার বৈঠকের পর দেওয়া যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতি অনুমোদন করলে যত দ্রুত সম্ভব’ ইউক্রেইনের নেটো সদস্যপদ প্রাপ্তিতে কানাডা সমর্থন দেবে।
জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে হতে যাওয়া নেটো সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।