কুমিরকে পাল্টা কামড় দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন কৃষক

প্রথমে লাথি মেরে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করে কাজ না হওয়ায় পরে কুমিরকে পাল্টা কামড় দেন অস্ট্রেলিয়ার এই কৃষক। আর তাতেই হয় প্রাণরক্ষা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2023, 02:02 PM
Updated : 8 Nov 2023, 02:02 PM

অস্ট্রেলিয়ার এক কৃষক লেকের পাড়ে গিয়ে পড়েছিলেন বিপদে। এক কুমির হঠাৎ পা কামড়ে ধরে গভীর পানিতে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তাকে। প্রথমে কুমিরটিকে লাথি মেরে তিনি ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে কাজ না হওয়ায় পরে তিনি পাল্টা কামড় বসান কুমিরকে। আর তাতেই প্রাণে বাঁচেন তিনি।

সৌভাগ্যবান ওই কৃষকের নাম কলিন ডেভেরক্স। যদিও নর্দান টেরিটোরিতে ১০ ফুট লম্বা সেই নোনাপানির কুমিরের কামড় খেয়ে এক মাস হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে তাকে।

ডেভেরক্স পেশায় একজন পশুপালক। গত মাসে ফিনিস নদীর কাছে বেড়া দেওয়ার কাজে যাওয়ার সময় তিনি ওই লেকের পাড়ে থেমেছিলেন। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

এবিসি নিউজকে ডেভেরক্স জানান, লেকের মাঝখানে কিছু মাছ সাঁতার কাটছে দেখে তিনি থেমেছিলেন। এরপর আবার রওনা হওয়ার সময় হঠাৎ একটি কুমির তার ডান পা কামড়ে ধরে টানতে টানতে পানির ভেতরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন তিনি প্রথমে আরেক পা দিয়ে কুমিরের বুকে লাথি মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় কুমিরটিকে কামড় দেন।

ঘটনাটি বর্ণনা করে ডেভেরক্স বলেন, “আমি একরকম বেকায়দা অবস্থায় ছিলাম… কিন্তু দৈবক্রমে আমার দাঁতের কামড় লাগে কুমিরের চোখের পাতায়। সেটি বেশ পুরু ছিল, অনেকটা চামড়া ধরে থাকার মতো। কিন্তু আমি ফের চোখের পাতা কামড়ে ধরলে কুমিরটি আমাকে ছেড়ে দেয়।

“সঙ্গে সঙ্গে আমি লাফ দিয়ে উঠে যাই। বড় বড় পা ফেলে যেখানে আমার গাড়ি ছিল সেদিকে যাই। কুমিরটি কিছুক্ষণ আমাকে তাড়া করে। সম্ভবত চার মিটার এসেছিল। কিন্তু তারপর থেমে যায়।”

একটি তোয়ালে ও দড়ি দিয়ে পা বেঁধে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করেছেন বলে জানান ডেভেরক্স। তিনি বলেন, এরপর তার ভাই গাড়ি চালিয়ে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উত্তরের রয়াল ডারউইন হাসপাতালে তাকে নিয়ে যান।

“যদি সে (কুমির) আমাকে অন্য কোথাও কামড়াত, তাহলে হয়ত পরিস্থিতি ভিন্ন হত”, বলেন ডেভেরক্স।

স্থানীয় সরকারের মতে, কুমির অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটোরিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পের ভিত্তি এবং আইনগত ভাবে এ প্রাণীর সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক কাজ এবং মানব স্বার্থের পাশাপাশি কুমিরকে পর্যটক আকর্ষণের জন্য মূল্যবান প্রাণী হিসাবে গণ্য করা হয়।