ইউক্রেইন এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর ভেতর দিয়ে সড়ক, রেলপথে ও নৌবন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি করছে।
Published : 08 Feb 2024, 01:35 AM
বাকি বিশ্বে যেখানে জোগানের অভাবে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে, সেখানে ইউক্রেইন থেকে আসা শস্য ও তেলবীজের বন্যায় অতিষ্ঠ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া সরকার নিজ দেশের কৃষকদের সুরক্ষায় সে দেশ থেকে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
২০২২ সালে রুশ আগ্রাসন শুরুর আগ পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ ছিল ইউক্রেইন। দেশটি মূলত কৃষ্ণ সাগরে তাদের বন্দরগুলো দিয়ে বিশ্ববাজারে শস্য পাঠাত। যুদ্ধ শুরুর পরপরই যেগুলোর দখল নিয়ে নেয় রাশিয়া। ইউক্রেইন এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর ভেতর দিয়ে সড়ক, রেলপথে ও নৌবন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি করছে।
ইউক্রেইনের ওইসব শস্য নানা জটিলতায় বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। এতে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর বাজার ইউক্রেইনের শস্যে সয়লাব হয়ে গেছে, কমে গেছে পণ্যের দাম। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্থানীয় কৃষকদের উপর।
এনিয়ে কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করলে দেশগুলোর সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নেয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের আটকাতে গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেইনের প্রতিবেশী পাঁচ দেশে সে দেশের শস্য আমদানির উপর নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইউক্রেইনের সে দেশগুলোর ভেতর দিয়ে শস্য রপ্তানির সুযোগ ছিল। শুধু শর্ত ছিলো সেগুলো অন্যত্র বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু ইউক্রেইনের অনুরোধে শুক্রবার ইইউ তাদের সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে। ইউক্রেইনে এখন শস্য কাটার মৌসুম। মাঠে থাকা শস্য বিক্রি করতে না পারলে দেশটির কৃষকদের বিপদে পড়তে হবে। নিজেদের কৃষকদের বাঁচাতে ওই তিন দেশ তাই ওই দিনই নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সংবাদ সূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)