নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করার পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন একথা বলেছেন।
Published : 18 Mar 2024, 09:59 AM
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাত বাঁধলে তা পৃথিবীকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রান্তে নিয়ে যাবে বলে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তবে অধিকাংশ মানুষ এমন পরিণতি কামনা করে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কে সবচেয়ে গভীর সংকট তৈরি করেছে ইউক্রেইন যুদ্ধ। এই সংকটের প্রেক্ষিতে পুতিন প্রায়ই পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করছেন, তবে এও জানাচ্ছেন যে তিনি কখনো ইউক্রেইনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।
গত মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেইনে স্থল সেনা মোতায়েনের বিষয়টি তিনি বাতিল করতে পারবেন না।
মাক্রোঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে অনেকগুলো পশ্চিমা দেশ দ্বিমত পোষণ করলেও অন্যরা, বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপ, সমর্থন জানিয়েছে।
মাক্রোঁর মন্তব্য এবং রাশিয়া ও নেটোর সংঘাতের ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে পুতিন ব্যঙ্গ করে বলেছেন, “আধুনিক বিশ্বে সবকিছুই সম্ভব। এটা সবার কাছেই পরিষ্কার যে এর এক পা দূরেই পূর্ণ মাত্রার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আমি মনে করি তেমন কেউই এ বিষয়ে আগ্রহী হবে না।”
সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী যুগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে ২০৩০ পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করার পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এসব কথা বলেন।
ইউক্রেইনে ইতোমধ্যে নেটোর সামরিক সদস্যদের উপস্থিতি আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি জানান, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইংরেজি ও ফরাসিভাষী লোকজনকে আটক করেছে রাশিয়া।
“এতে ভালো কিছু নেই, প্রথমত তাদেরই জন্য, কারণ তারা সেখানে মারা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যায়,” বলেছেন তিনি।
১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে থেকেই দেশটিতে আক্রমণ বৃদ্ধি করে ইউক্রেইন, রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে গোলাবর্ষণ করে আর ইউক্রেইন সমর্থিতরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেইনের খারকিভ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রয়োজন মনে করছেন কিনা, এমন প্রশ্নে পুতিন বলেন, যদি এসব হামলা চলতে থাকে তাহলে নিজেদের অঞ্চলগুলো রক্ষার জন্য ইউক্রেইনের আরও অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাশিয়া একটি বাফার জোন তৈরি করতে পারে।
বিদেশে তৈরি করা অস্ত্রগুলো যেন এ ধরনের বাফার জোন পেরিয়ে রাশিয়ার অঞ্চলগুলোতে পৌঁছতে না পারে সে রকম বড় করেই সেটি তৈরি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: