দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউক্রেইনের যুদ্ধ ঘোষণা

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্রুতই মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2023, 01:51 PM
Updated : 27 Jan 2023, 01:51 PM

রাশিয়ার আক্রমণের মুখে নাজেহাল অবস্থার মধ্যেই ইউক্রেইন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সমালোচনার মুখে দুর্নীতিরোধী অভিযান শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইউক্রেইন।

এ খবর লেখা পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে ইউক্রেইনের ১১ কর্মকর্তা হয় পদত্যাগ করেছেন, নয়ত বরখাস্ত হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্রুতই মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে অভিযোগ গুরুতর। আর সময়টাও ভাল না।

গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের এক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা, উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং উপ-প্রসিকিউটর জেনারেল পদত্যাগ করেছেন।

কর্মকর্তাদের একজন- কিরিলো টিমোশেঙ্কো- ব্যয়বহুল গাড়ি ব্যবহার নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন।

ইউক্রেইনের গণমাধ্যমে দেশটির এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খাদ্যদ্রব্য মজুত করে রেখে উচ্চমূল্যে বিক্রির জন্য চুক্তির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন আসার পর দুর্নীতি দমনাভিযান শুরু হয়। অভিযোগ ওঠা ওই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন জেলেনস্কি।

এরই মধ্যে আরেক মন্ত্রী ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদেরকে সরকারি কোনও কার্যক্রম ছাড়া দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বিবিসি জানায়, ৩১ বছর আগে ইউক্রেইনের স্বাধীনতার পর দেশটির সরকারি সেবা এবং রাজনীতিতে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। ২০১৪ সালে একটি গণঅভ্যুত্থানে মস্কো-পন্থি সরকারের পতন হয়। কারণ, জনগণ শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের অধীনে থাকতে চাইছিল।

তখন থেকে ইউক্রেইন কয়েকদফা সংস্কারের চেষ্টা নিয়ে আসছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে পরিবর্তন আনাটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।

এরপরই স্থাপন করা হল নতুন দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা। তার সঙ্গে চালু হল সরকারের ব্যয়ের নতুন পদ্ধতি এবং নতুন পুলিশ বাহিনী। রাজনীতিবিদদেরকে তাদের সম্পদের হিসাব দেখাতে বাধ্য করা হল।

ইউক্রেইনের পার্লামেন্টের দুর্নীতিবিরোধী কমিটির এমপি এবং উপপ্রধান কর্মকর্তা ইয়ারোস্লাভ ইউরচিসিন বলেছেন, “আমরা ফল চেয়েছিলাম।”

হ্যাঁ, অতীতে আমাদের দুর্নীতির অবশিষ্ট কিছু ছিল। কিন্তু অন্তত এখন আমরা এ বিষয়ে নীরব নই। পরবর্তী কাজ হবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।”

ইয়ারোস্লাভ মনে করেন, মন্ত্রীদের অপকর্মের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার ভাল সময় এখনকার চেয়ে আর হতে পারে না। যদিও এই সময়ে পশ্চিমাদের সাহায্য হারানোর ঝুঁকি আছে।

তিনি বলেন, “পশ্চিমা শক্তিরা বুঝবে আমাদের দুটি যুদ্ধ আছে। প্রথমটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে। আর তার পরেরটি হচ্ছে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন, ইউক্রেইনের ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ।”