ইউক্রেইনজুড়ে শনিবার রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে নিপ্রোতে গুঁড়িয়ে যাওয়া নয়তলা আবাসিক ভবনের ৪৩ বাসিন্দা এখনো নিখোঁজ। যাদের জীবিত উদ্ধারের আশা ‘খুবই কম’ বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন মেয়র বরিস ফিলাতোভ।
ওই ভবন থেকে এরইমধ্যে ২৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করেন মেয়র।
বলেন, যে ৭০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা ‘গুরুতর’।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাভিয়েস্কি ওই হামলাকে ‘অমানবিক’ বর্ণনা করে বলেন, ‘‘রাশিয়া ইচ্ছা করে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করছে।”
শনিবার রাতভর নিপ্রোর ওই বহুতল ভবনের ধ্বংস্তূপের মধ্যে উদ্ধার কাজ চলেছে জানিয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি ব্যক্তি, প্রতিটি জীবনের জন্য লড়াই করছি।”
নতুন বছরের শুরুর আগের দিন থেকেই ইউক্রেইনে জোর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।
বর্তমানে ইউক্রেইনের বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু হলেও মাঝেমধ্যেই বেসামরিক নাগরিকদের বাসভবনে গিয়েও আঘাত হানছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।
ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার উপর ভর করে রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেইন যুদ্ধে খানিকটা অগ্রগতি লাভ করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ অবস্থায় জেলেনস্কি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আরো অত্যাধুনিক অস্ত্র চেয়েছেন। ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য দেশটিকে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে। তাদের এ পদক্ষেপ জার্মানির ওপরও কিইভকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দেওয়ার চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেইনকে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক এবং অত্যাধুনিক কিছু কামানের গোলা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা শিগগিরই চ্যালেঞ্জার-২ ও এএস৯০ কামান চালাতে ইউক্রেইনীয় বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করবে।