আবারও ব্রিটিশ মিডিয়াকে একহাত নিলেন মেগান

রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না মেগান মার্কল।

রয়টার্স
Published : 23 April 2023, 01:34 PM
Updated : 23 April 2023, 01:34 PM

ব্রিটিশ রাজপরিবারে অদৃশ্য পক্ষপাত নিয়ে রাজা চার্লসকে চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল। যা নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়াই মেগানের রাজ্যাভিষেকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ বলে যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

ওই খবরকে মিথ্যা এবং হাস্যকর বলে বর্ণনা করে ব্র্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে ‘বিরক্তিকর সার্কাস’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান।

আগামী ৬ মে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান হবে। যেখানে তার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি একাই যোগ দেবেন বলে বাকিংহাম প্যালেসের বরাত দিয়ে সম্প্রতি খবর প্রকাশ করে বিবিসি।

প্রিন্স হ্যারির বাবার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এখন মেগান কেনো যোগ দিচ্ছিন না তা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোতে জল্পনা কল্পনা চলছে।

এর মধ্যে ডেইলি টেলিগ্রাফের একটি খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ রাজপরিবারে মধ্যে অদৃশ্য পক্ষপাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মেগান রাজা চার্লসকে চিঠি লিখেছিলেন।

২০২১ সালে অপরা উইনফ্রিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেগান বলেছিলেন, তার প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের সময় তার গায়ের রঙ কতটা কালো হবে তা নিয়ে রাজপরিবার থেকে দুঃশ্চিন্তা প্রকাশ করা হয়েছিল।

টেলিগ্রাফের খবরে মেগানের ওই মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ডাচেস অব সাসেক্সের মনে হয়েছে তিনি তার ওই উদ্বেগের বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব পাননি।

Also Read: প্রিন্স হ্যারির ‘স্পেয়ার’: রাজপরিবারের রহস্যের পর্দা উন্মোচন

Also Read: বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার: মেগান বললেন, তার ছেলের গায়ের রঙ নিয়ে উদ্বেগ ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারে

Also Read: শিশুদের জন্য বই লিখেছেন মেগান

এ বিষয়ে শনিবার মেগানের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘ডাচেস অফ সাসেক্স তার বর্তমান জীবন উপভোগ করছেন। তিনি চার বছর আগের কথোপকথনের সাথে সম্পর্কিত দুই বছর আগের চিঠিপত্রের কথা ভাবছেন না।

‘‘এ সম্পর্কিত যেকোনো খবর মিথ্যা এবং হাস্যকর। আমরা ট্যাবলয়েড মিডিয়া এবং রাজপরিবার বিষয়ক সংবাদদাতাদের তাদের ক্লান্তিকর সার্কাস বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যা তারা নিজেরা তৈরি করছেন।”

২০২০ সালের শুরুতে হঠাৎ করেই রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এবং তারপর যুক্তরাজ্য ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে থিতু হওয়া হ্যারি-মেগান দম্পতির সঙ্গে ব্রিটিশ মিডিয়ার সম্পর্ক খানিকটা আদায় কাচকলার মত।

ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরিবারে অভ্যন্তরের অনেক বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন হ্যারি-মেগান।

এ বছর জানুয়ারিতে প্রিন্স হ্যারির লেখা স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ প্রকাশ পায়। সারা বিশ্বে ১৬টি ভাষায় একসঙ্গে এই বই প্রকাশ পায়।

যেখানে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রাজ পরিবারের সঙ্গে নিজের দ্বন্দের কথা খোলাখুলি প্রকাশ করে বহু বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে হ্যারি।

ওই বই প্রকাশের পর হ্যারি রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন কিনা বা হলেও তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।

রাজ চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের দিনই হ্যারির ছেলে আর্চির চতুর্থ জন্মদিন।