পাকিস্তানে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী দপ্তরে বিস্ফোরণে নিহত ১৩

খাইবার পাখতুনখওয়ার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী দপ্তরের কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2023, 04:15 AM
Updated : 25 April 2023, 04:15 AM

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের একটি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের দপ্তরে দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে প্রদেশটির সোয়াত জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত জানিয়েছেন।  

হায়াতের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলছেন, “দপ্তরের অস্ত্রগারে আগুন ধরে যায়, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে। বাইরে থেকে কোনো হামলা হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

বিস্ফোরণের অন্য দিকগুলোও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

হায়াত জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী দপ্তরের কর্মকর্তা। এছাড়া বিস্ফোরণের সময় ওই ভবনের পাশ দিয়ে যেতে থাকা এক নারী ও তার শিশু সন্তানও নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান সোহাইল খালিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিস্ফোরণটিকে আত্মঘাতী হামলা বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী কাজ বলে মনে হচ্ছে না।

তিনি বলেছেন, “সেখানে একটি স্টোরে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রাখা ছিল, এখনও পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস সেখানে অসতর্কতার কারণে সম্ভবত কিছু বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে আমরা সব সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছি।”

এক হাসপাতালের প্রশাসন জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণে আহত তিন বেসামরিকসহ অন্তত ৫৭ জনকে তাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিদ্রোহ প্রবণ সোয়াত উপত্যকায় পাকিস্তানের পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী কর্মীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি আছে।

এই সোয়াত উপত্যকা দীর্ঘদিন জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০০৯ সালে সামরিক বাহিনীর অভিযানে উপত্যকাটি জঙ্গিমুক্ত হয়।

এখানেই ২০১২ সালে জঙ্গিরা নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করে মারাত্মক আহত করেছিল। প্রকৃতির এই লীলাভূমি পাকিস্তান তালেবানের সাবেক প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহর জন্মভূমি, তিনি ২০১৮ সালে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে এক বিমান হামলায় নিহত হন।