থাইল্যান্ডে ছোট্ট একটি বৌদ্ধমন্দিরের প্রধান ভিক্ষুসহ সব ভিক্ষু মাদক পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ হওয়ার পর মন্দিরটি খালি করে দেওয়া হয়েছে।
তারা সবাই মেথামফেটামিন নামক মাদক গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
উত্তরের ফেৎচাবান প্রদেশের ওই বৌদ্ধমন্দিরটির মাদকাসক্ত চার ভিক্ষুকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে তাদের মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে জানান স্থানীয় এক কর্মকর্তা।
বিবিসি জানায়, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে থাইল্যান্ড জুড়ে সরকারের মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। যার অংশ হিসেবে সোমবার ওই বৌদ্ধমন্দিরে অভিযান পরিচালিত হয়।
এদিন পুলিশ তাদের মূত্র পরীক্ষা করলে সেখানে মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তাদের মন্দিরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্দিরটি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের গ্রামবাসীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মন্দিরে ভিক্ষু না থাকলে তাদের প্রার্থনা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালনে অসুবিধায় পড়তে হবে।
উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে কর্তৃপক্ষ ওই মন্দিরে দ্রুত নতুন ভিক্ষু নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত কয়েক বছরে থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন ধরনের মাদক মেথামফেটামিন মাথাব্যাথার বড় কারণ হয়ে উঠেছে।
থাইল্যান্ডে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ মাদক জব্দ হয়েছে বলে জানায় মাদক ও অপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের একটি সংস্থা।
মেথামফেটামিন পাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট থাইল্যান্ড। সাধারণত মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ডে মাদক পাচার হয়।
মিয়ানমার বিশ্বের সর্ববৃহৎ মেথামফেটামিন উৎপাদনকারী দেশ। ট্যাবলেটের আকারে এই মাদক দেশটিতে রাস্তাঘাটে বিক্রি হতে দেখা যায়।
গত মাসে থাইল্যান্ডে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা তার বাড়ির কাছে একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ৩৭ শিশুকে হত্যা করেন এবং বাড়ি ফিরে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন। নিহত সব শিশুর বয়স ছিল দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে।
হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা তার কয়েকমাস আগে মাদক গ্রহণের দায়ে বরখাস্ত হয়েছিলেন। তিনি মেথামফেটামিন গ্রহণ করতে এবং হামলা করার আগেও মাদক গ্রহণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে মাদক বিরোধী কঠোর অভিযানের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা।