জানুয়ারিতেই জন্মসূত্রে ইউক্রেইনীয় মডেল ক্যারোলিনা শিনোর ২০২৪ সালের ‘মিস জাপান’ খেতাব জয় করা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
Published : 06 Feb 2024, 08:21 PM
গত মাসেই ২০২৪ সালের ‘মিস জাপান’ খেতাব জয় করেছিলেন ক্যারোলিনা শিনো। যিনি জন্মসূত্রে ইউক্রেইনীয় পরিবারের হওয়ার কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বিতর্কের রেশ না কাটতেই এবার জাপানের সেরা সুন্দরীর মুকুট ফিরিয়ে দিলেন শিনো। একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হওয়াই এর কারণ।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় শুকান বুনশুন ম্যাগাজিন শিনোর এই সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তিনি একজন বিবাহিত চিকিৎসক ও ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে প্রেমে জড়িত ছিলেন বলে খবরে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিবাহিত সেই পুরুষ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।
গত সপ্তাহে শিনোর প্রেমের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ‘মিস জাপান’ প্রতিযোগিতার আয়োজকরা শিনোর পক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, তিনি (শিনো) জানতেন না তার প্রেমিক বিবাহিত।
পরে সোমবার আয়োজক সংস্থা ‘মিস জাপান অ্যাসোসিয়েশন’ জানায়, ক্যারোলিনা শিনো স্বীকার করেছেন যে, ওই পুরুষের বিয়ে এবং পরিবার সম্পর্কে সবকিছুই তার জানা ছিল। লোকজনকে মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং মুকুট ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর আয়োজক সংস্থাও তা গ্রহণ করেছে।
পত্রিকার খবর প্রকাশের পর শুরুতে ভয় এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মিথ্যা বলেছিলেন বলে সোমবার এক বিবৃতিতে প্রকাশ্যে সবাইকে জানিয়েছেন শিনো।
তিনি বলেন, “ঝামেলা বাধানো এবং যারা আমাকে সমর্থন করেছিলেন তাদের সঙ্গে বিশ্বাসাতকতা করার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।”
শিনো মুকুট ত্যাগ করায় এবছরের জন্য ‘মিস জাপান’ খেতাব আর কারও থাকছে না। যদিও এ প্রতিযোগিতায় কয়েকজন রানার আপ আছে। শিনোকে জাপানের সেরা সুন্দরীর ‘মিস জাপান’ খেতাব দেওয়া হয়েছিল গত ২২ জানুয়ারিতে।
২৬ বছর বয়সী মডেল শিনোর জন্ম হয়েছিল আদতে এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে নাগোয়ায় বেড়ে ওঠেন তিনি।
শিনোই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসাবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয় পেয়েছিলেন। জাপানি নাগরিক হিসাবে এই স্বীকৃতি পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। মনে-প্রাণে নিজেকে একজন জাপানি বলেও বর্ণনা করেন শিনো।
তারপরও তার জাতীয় পরিচয় নিয়ে নতুন করে উস্কে ওঠে বিতর্ক। তার ‘মিস জাপান’ খেতাব জয়ের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেন স্যোশাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ বলেন, জাপানি মা-বাবার সন্তান নন, এমন একজনকে কি করে ‘মিস জাপান’ বলা যেতে পারে?
কেউ কেউ অবশ্য তার জয়কে ‘সময়ের ধারা বদলে যাওয়ার লক্ষণ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তবে অন্য অনেকেই বলেছিলেন, ‘মিস জাপান’ দেখতে যেরকম হওয়া উচিত, শিনো দেখতে তেমন নন।