কঙ্গোর রাজধানীতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ১২০ মৃত্যু

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-জ্যাক এমবুঙ্গানি এমবানদা বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের গণনায় ১৪১ জনের মৃত্যুর হিসাব পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2022, 04:30 AM
Updated : 14 Dec 2022, 04:30 AM

গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সরকারি নথিপত্রে এমনটি দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

নগরীর অনেক এলাকার পুরোটাই কর্দমাক্ত পানিতে তলিয়ে যায়। বিশাল বিশাল গর্ত তৈরি হয়ে ঘরবাড়ি ও সড়ক ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায়। এসব সড়কের মধ্যে কিনশাসার সঙ্গে প্রধান সমুদ্র বন্দর মাতাদিকে সংযুক্তকারী এন১ মহাসড়কও আছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, এন১ মহাসড়ক ৩ থেকে ৪ দিন বন্ধ থাকতে পারে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীদপ্তর জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন মৃতের সংখ্যা সংকলিত করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-জ্যাক এমবুঙ্গানি এমবানদা রয়টার্সকে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের গণনায় ১৪১ জনের মৃত্যুর হিসাব পাওয়া গেছে, কিন্তু সংখ্যাটি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের সঙ্গে ক্রস-চেক করে দেখতে হবে।

টুইটারে কঙ্গো সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়ার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ একটা সড়ক গভীর একটি খাদের মধ্যে হারিয়ে গেছে, লোকজন পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি দেখছে।  

স্থানীয় বাসিন্দা গ্যাব্রিয়েল এমবিকোলো বলেন, “১নং জাতীয় সড়কে বড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। শুধু পথচারীরাই পার হতে পারবে। পানি কীভাবে রাস্তা কেটে ফেললো তা বুঝতে পারছি না আমরা।” 

একসময় কঙ্গো নদীর পাড়ের মৎসজীবীদের গ্রাম কিনশাসা এখন প্রায় দেড় কোটি বাসিন্দা নিয়ে আফ্রিকার বৃহত্তম মেগাসিটিগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

দুর্বলভাবে নিয়ন্ত্রিত দ্রুত নগরায়ণ শহরটিকে প্রবল বৃষ্টির পর আকস্মিক বন্যার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখে ফেলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন এখানে প্রায়ই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। 

২০১৯ সালে ভারি বৃষ্টির পর কিনশাসার নিচু এলাকাগুলো ডুবে গিয়ে এবং কিছু ভবন ও সড়ক ধসে পড়ে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।