বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দুই পরাশক্তি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে প্রায় ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিরোধপূর্ণ সীমান্ত রয়েছে।
Published : 25 Aug 2023, 12:40 PM
বিরোধপূর্ণ সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাসে একমত হয়েছে এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন।
ভারতের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
ওই কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকসের সম্মেলনের ফাঁকে গত বুধবার আলোচনায় বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওই বৈঠকে দুই নেতা সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে একমত হন।
মোদীর অনুরোধে ওই বৈঠক হয় বলে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা তীব্র রূপ নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দুই পরাশক্তি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে প্রায় ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যে সীমান্তের বেশিরভাগ অংশ নির্ধারিত নয় এবং যেটি দ্য লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নামে পরিচিত।
এই এলএসি বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে পদক্ষেপ গ্রহণে উভয় পক্ষ রাজি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান ভারতের ফরেন সেক্রেটারি ভিনয় কোয়াত্রা।
বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা এবং এলএসি পর্যবেক্ষণ করা ও এ ব্যবস্থার সম্মান করা জরুরি বলে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন।
“এ বিষয়ে দুই নেতা নিজ নিজ কর্মকর্তাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।”
৬ দেশকে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ
ব্রিকস সম্প্রসারণে শীর্ষ নেতাদের ঐকমত্য
বৈঠকের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার ‘বর্তমান চীন-ভারত সম্পর্ক এবং দুই দেশের যৌথ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোলাখুলি ও গভীরভাবে মতবিনিময়’ করেছেন।
ভারতের দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, মোদী-শি বৈঠকের সময় সেখানে কোনো দোভাষী বা নোট গ্রহণের জন্য কাউকে রাখা হয়নি।
এই দুই নেতা এর আগে ২০২২ সালে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে সর্বশেষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলেন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি২০ এর পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যে সম্মেলনে অংশ নিতে শি ভারতে যাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।