পারমাণবিক কেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ইউক্রেইন সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব

ইউক্রেইনের জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ বাহিনীর তৎপরতায় সৃষ্ট ঝুঁকির মধ্যে দেশটিতে সফরে গেছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 06:40 PM
Updated : 18 August 2022, 06:40 PM

ইউক্রেইনের জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়া বাহিনীর তৎপরতায় যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যেই দেশটিতে সফরে গেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

একইসঙ্গে ইউক্রেইন সফর করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানও। জাতিসংঘ মহাসচিব যুদ্ধ অবসানের একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে ইউক্রেইন এবং তুরস্ক উভয় দেশের নেতার সঙ্গেই বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে তারা গোলা হামলার কারণে জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি ইউক্রেইনের শস্য রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা নিয়েও আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলে জেপোরোজিয়া কেন্দ্রের অবস্থান। ইউরোপে এটি সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা। রুশ বাহিনী গত মার্চ থেকে কেন্দ্রটি দখল করে রেখেছে।

সম্প্রতি কয়েকদিনে জেপোরোজিয়া ঘিরে ভারী গোলাবর্ষণ চলছে। এ গোলাবর্ষণের জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেইন একে অপরকে দোষারোপ করছে।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস জেপোরোজিয়া স্থাপনাকে ‘অ-সামরিক এলাকা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাশিয়া সেটি করতে নারাজ।

কিন্তু জেপোরোজিয়ায় রুশ সেনা উপস্থিতি বড়ধরনের বিপদ হয়ে আছে। সেখানে দুর্ঘটনাক্রমে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া এমনকী পারমাণবিক বিপর্যয়ও ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে ইউক্রেইনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘এনারোঅ্যাটম’, এমনকী জাতিসংঘও।

এবার জাতিসংঘ মহাসচিব ইউক্রেইনে গিয়ে আবার সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া অধিকৃত জেপোরোজিয়া পারমাণবিক প্ল্যান্টের ক্ষতি হলে তা আত্মহত্যারই সামিল হবে। ইউক্রেইনের লভিভে সাংবাদিকদেরকে গুতেরেস বলেন, ওই প্ল্যান্টের আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও ইউক্রেইনের লভিভ সফরকালে জেপোরোজিয়া প্লান্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্ব আরেকটি ‘চেরনোবিল দুর্ঘটনা’ দেখতে চায় না।

তুরস্ক সম্প্রতি রাশিয়া এবং ইউক্রেইনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেছে। ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানি চালু করতেও দেশটি ভূমিকা রেখেছে।

Also Read: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘পারমাণবিক ঢাল’ ব্যবহারের অভিযোগ ইউক্রেইনের