হার্টের সমস্যায় অচেতন হয়ে পড়া থাই রাজকুমারী হাসপাতালে

বজ্রকিতিয়াভা রাজার প্রথম স্ত্রী সোমসাওয়ালির মেয়ে, রাজা ভাজিরালংকর্নের প্রথম সন্তান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2022, 12:05 PM
Updated : 15 Dec 2022, 12:05 PM

থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকংর্নের বড় মেয়ে রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা হার্টের সমস্যায় অচেতন হয়ে পড়ার পর তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে থাই রাজপ্রাসাদ। 

বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাংককের উত্তরপূর্বে কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় তিনি ঢলে পড়েন।

৪৪ বছর বয়সী এ রাজকুমারীকে তৎক্ষণাৎ কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ব্যাংককে উড়িয়ে আনা হয়, এখন রাজধানীতেই তার চিকিৎসা চলছে বলে রাজপ্রাসাদের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।  

বুধবার রাতে বজ্রকিতিয়াভার ‘অবস্থা একরকম স্থিতিশীল’ ছিল, বলেছে থাই রাজপ্রাসাদ।

ব্যাংককের চুলালংকর্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিবিসির ব্যাংকক প্রতিবেদক জনাথন হেড বলেছেন, থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদের দেওয়া মেডিকেল বুলেটিন বেশিরভাগ সময়ই অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশায় ঢাকা থাকে।

বজ্রকিতিয়াভা সম্পর্কে একটা বিবৃতি দিয়েছে তারা, যা থেকে তার অবস্থা কতটা গুরুতর তা বোঝা কষ্টকর, বলেছেন তিনি।

রাজকুমারীর এখনকার শারীরিক অবস্থা কেমন, সে বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। রাজপ্রাসাদ স্পষ্ট না করলেও বজ্রকিতিয়াভার অবস্থা বেশ গুরুতর বলেই নানা সূত্র থেকে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

বজ্রকিতিয়াভা রাজার প্রথম স্ত্রী সোমসাওয়ালির মেয়ে, ভাজিরালংকর্নের প্রথম সন্তান। তিনি রাজা ভূমিবলের উত্তরসূরী ভাজিরালংকর্নের আস্থাভাজন অল্প কয়েকজনের একজন, রাজার ব্যক্তিগত রক্ষীদলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও।

রাজপ্রাসাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে অল্প কজন থাকে, তাদের মধ্যে বজ্রকিতিয়াভাই সবচেয়ে দৃশ্যমান; তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।

রাজা ভাজিরালংকর্ন এখন পর্যন্ত তার উত্তরসূরীর নাম ঘোষণা না করলেও এই পদে বজ্রকিতিয়াভাই সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী বলে অনেকের ধারণা।

আনুষ্ঠানিক রাজপদবী পাওয়া রাজার তিন সন্তানের একজন বজ্রকিতিয়াভা উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ১৯২৪ সালের প্রাসাদ আিইন অনুযায়ী সিংহাসনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।

শরীরচর্চায় তার ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের দণ্ডবিধির সংস্কারের পক্ষেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে গলা ফাটাচ্ছেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতও ছিলেন।