তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে না।
Published : 29 Oct 2023, 09:20 AM
ইসরায়েল ‘যুদ্ধাপরাধীর’ মত আচরণ করছে, এমনটা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। যার জেরে ইসরায়েল দেশটি থেকে নিজেদের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়েছে।
ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনিপন্থি এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় শনিবার এরদোয়ান এ কথা বলেন বলে জানায় বিবিসি।
কূটনীতিকদের তুরস্ক থেকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার জবাব দেন।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, “বিশ্বে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীই সবচেয়ে বেশি নীতিবান।”
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের অতর্কিত হামলার জবাব দিতে ওই দিন থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের হামলা দিন দিন আরো বিস্তারলাভ করছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের কয়েক ঘণ্টার হামলায় ইসরায়েলে ১৪শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়। এছাড়া, হামাস দেশটি থেকে আরো ২২৯ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হামাস এখন পর্যন্ত চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে, ওই দিন থেকে গাজার উপর ইসরায়েলের হামলায় শনিবার পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শনিবার ইস্তাম্বুলে জড়ো হয় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। সেখানে এরদোয়ান বলেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যে হোতা পশ্চিমা দেশগুলো’।
“ইসরায়েল গত ২২ দিন ধরে সবার চোখের সামনে যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা নেতারা এমনকি ইসরায়েলকে একটি যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার কথা পর্যন্ত বলছে না, প্রতিক্রিয়া জানানো তো দূরে থাক।”
তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধীর’ মত আচরণ করার অভিযোগ তুলে আরো বলেন, তারা ফিলিস্তিনিদের ‘নির্মূল করে ফেলতে চাইছে’।
বলেন, “অবশ্যই, সব দেশের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু এবেলা ন্যায়বিচার কোথায়? সেখানে ন্যায়বিচার বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই- গাজায় শুধু লোমহর্ষ হত্যাযজ্ঞ চলছে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে এরদোয়ানের বক্তৃতা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোহেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ বলেন, “তুরস্ক থেকে আসা গুরুতর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, আমি ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করতে সেখানে থাকা কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছি।”
তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে না। হামাস সম্পর্কে যেমনটা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা।