যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আরেকটি দল তাইওয়ান যাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের এ দলটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতেই তাইওয়ান পৌঁছানো কথা। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেইজিংয়ের উপর চাপ আরও বাড়বে।

রয়টার্সবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2022, 04:59 PM
Updated : 25 August 2022, 04:59 PM

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আরেকটি দল তাইওয়ান যাচ্ছে, যা হবে এ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় কোনও সরকারি প্রতিনিধি দলের তাইপে সফর।

স্বঘোষিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের ‍সরকারি সংবাদ সংস্থা সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় এই দলটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে তাইওয়ান পৌঁছানো কথা রয়েছে। যা স্বাভাবিকভাবেই বেইজিংয়ের উপর চাপ আরও বাড়াবে।

চীন তাইওয়ানকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। যা পুনরায় একদিন মিলিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে রেখেছে বেইজিং।

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সফর দ্বীপটির বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘উস্কানি’ দেবে বলে মনে করে চীন। এ কারণে তারা প্রথম থেকেই মার্কিন কর্মকর্তাদের সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে।

এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের জেরে ‘কঠোর সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে’ তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন।

মহড়ায় তারা ‘লাইভ ফায়ার’ করেছে। তাইপের দাবি, তাইওয়ানে উপর দিয়ে চীন কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে।

তার মধ্যেও পেলোসির তাইপে সফরের ১২ দিনের মাথায় গত ১৪ অগাস্টে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দলের তাইওয়ান সফরে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।

তাইওয়ানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানোও হয়। ক্ষুব্ধ চীন এখনও তাইওয়ান প্রণালীর কাছে তাদের নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিনিধি দলের তাইওয়ান সফরে যাওয়ার খবর প্রকাশ পেল। সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির খবরে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন আইনপ্রণেতা তাইপে যাচ্ছেন তা জানানো হয়নি।

তবে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে করে তারা তাইপের সংশান বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন এবং শুক্রবার প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এক বিবৃতিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের’ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার পর (জিএমটি ১৫:০০) সংশান বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য তারা দেয়নি, এমন কী এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতেও তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যালয় থেকেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে তাইওয়ানের সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র এবং সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের আপত্তি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র তাইওয়ানের কাছে বিক্রি করে।

চীনের দাবির বিষয়ে তাইওয়ান বলেছে, পিপলস রিপাবলিক অব চীন কখনও তাইওয়ান দ্বীপ শাসন করেনি। তাই এ দ্বীপ নিজেদের বলে দাবি করার কোনো অধিকার তাদের নেই। দ্বীপের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ কেবলমাত্র নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করার অধিকার রাখে।