যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও শান্তির যে ক্ষীণ আশা ছিল তা চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছে- বলেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
Published : 12 Feb 2025, 08:38 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজার দখল নেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একে আগ্রাসী প্রস্তাব আখ্যা দিয়েছে এবং ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ করেছে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে বলেছে, “ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও শান্তির যে ক্ষীণ আশা ছিল, তা ওই প্রস্তাবের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিস্ফোরক ঘোষণার উত্তাপে বিশ্ব এখন যব সেদ্ধ করার পাত্রের মতো ফুটছে।”
ট্রাম্প কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই গাজাবাসীদের উচ্ছেদ করে সেখানকার দখল নেওয়ার পরিকল্পনা জানান। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলে জানিয়েছিলেন।
তার সেই ঘোষণারই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কেসিএনএ। তাছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনা এবং ‘মেক্সিকো উপসাগরের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখার সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া।
কেসিএনএ- এর প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রকে 'দুর্ধর্ষ ডাকাত' আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার নৈতিকতাবাদী দিবাস্বপ্ন থেকে জেগে ওঠা এবং অন্যান্য দেশ ও জাতির মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা।”
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছিলেন এবং সে সময় তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি আবারও কিমের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের বিষয়ে খুব কমই মন্তব্য করেছে। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করছে বলে অনবরত অভিযোগ করে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়া প্রায়ই আন্তর্জাতিক বিষয়ে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে। এমনকি তারা গাজা পরিস্থিতি নিয়েও স্পষ্ট কথা বলে।
গাজায় রক্তপাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে উত্তর কোরিয়া এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের সহযোগী বলে অভিযোগ করেছে।