ইয়েমেনে ১৭টি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি হুতিদের

হুতিদের আনসারুল্লাহ ওয়েবসাইট জানায়, “যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান আগ্রাসী হামলা চালিয়েছে, এতে নাগরিকদের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।”

সানায় মার্কিন বিমান হামলায় ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। ছবি: রয়টার্স।

ইয়েমেনে অন্তত ১৭টি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীরা। বুধবার হুতি গণমাধ্যম জানায়, সা’দা ও আমরান প্রদেশে এসব হামলা চালানো হয়।

হুতিদের আনসারুল্লাহ ওয়েবসাইট এক প্রতিবেদনে জানায়, “যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান আগ্রাসী হামলা চালিয়েছে, এতে নাগরিকদের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।” তবে হতাহতের বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি সাইটে।

গত ১৫ মার্চ ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। লোহিত সাগর ও গালফ অব এডেনে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হুতিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা কঠোর সামরিক শক্তি প্রয়োগের সংকল্প নেয়।

ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় হুতিদের শীর্ষ নেতারা নিহত হয়েছেন বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, হুতিদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।

এরপর থেকে হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের এলাকাগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালানো হচ্ছে। হুতিরা এসব হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে। একইসঙ্গে, হুতিরা জানিয়েছে, তারা মার্কিন সামরিক জাহাজ ও ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হুতিরা প্রথমে শিপিং রুটে হামলা শুরু করেছিল। তবে জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তারা এসব হামলা বন্ধ করে।

তবে চলতি মাসের শুরুতে হুতিরা হুমকি দেয়, গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা অব্যাহত থাকলে তারা গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটে আবারও হামলা শুরু করবে।

এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে নতুন করে বিমান হামলা চালায়, যা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযান।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প হুতিদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেন এবং গোষ্ঠীটিকে সহায়তা অব্যাহত রাখলে ইরানকেও কঠোর পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দেন।