বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ এর কারণে লেখক সালমান রুশদির উপর মুসলমানদের যতই ক্ষোভ থাকুক, তাই বলে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর হওয়া হামলা কোনোভাবেই ‘যৌক্তিক নয়’ বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশদির ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একে ‘ভয়ঙ্কর’ এবং ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন ইমরান।
অথচ এই ইমরান খানই দশ বছর আগে ভারতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ, ওই অনুষ্ঠানে রুশদিরও থাকার কথা ছিল। তারা দুইজন বিভিন্ন সময় পরষ্পরকে অপমান করে নানা বাক্যবানও ছুড়েছেন।
কিন্তু তিনি গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে রুশদির উপর প্রাণঘাতী হামলাকে সমর্থন করেননি। ছুরিকাঘাতে রুশদি গুরুতর আহত হন। তার প্রাণনাশেরও ঝুঁকি ছিল। চিকিৎসায় অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
তার ওপর হামলার বিষয়ে ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে এটি ভয়ঙ্কর, দুঃখজনক।
‘‘রুশদি বুঝতে পেরেছিলেন, কারণ তিনি একটি মুসলমান পরিবার থেকে এসেছেন। একজন নবী যিনি আমাদের হৃদয়ে বাস করেন তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মান কতটুকু তা তিনি জানেন। তিনি সেটা জানতেন।”
‘‘তাই (মুসলমানদের) ক্ষোভের কারণ আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু এজন্য যা ঘটেছে সেটাকে আপনি যৌক্তিক বলতে পারেন না।”
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। এই বইয়ে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে অভিযোগে অনেক মুসলমান ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওই বইয়ের কারণে ১৯৮৯ সালে ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি রুশদির বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মুসলমানদেরকে তাকে হত্যা করার আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া জারি করেছিলেন।