কানাডায় এক শ্রীলঙ্কান পরিবারের ৬ জনকে হত্যা

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো হামলাটিকে ‘ভয়ানক শোচনীয় ঘটনা’ অবহিত করে বলেছেন, এতে তিনি আতঙ্কিত হয়েছেন।

ছবি: রয়টার্স

কানাডার এক শ্রীলঙ্কান পরিবারের ছয় জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক মা ও চারটি শিশু রয়েছে। কানাডায় এ ধরনের নির্বিচার খুনের ঘটনা বিরল।

বুধবার রাতে রাজধানী অটোয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাটি পুরো কানাডাজুড়ে আলোড়ন তুলেছে।

হামলায় পরিবারটির বাবাও আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো হামলাটিকে ‘ভয়ানক শোচনীয় ঘটনা’ অবহিত করে এতে তিনি আতঙ্কিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন, জানিয়েছে রয়টার্স।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছয়জন কানাডায় নতুন এসেছিল, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স মাত্র ২ মাস।

এ ঘটনায় শ্রীলঙ্কা থেকে কানাডায় যাওয়া ১৯ বছর বয়সী পুরুষ শিক্ষার্থী ফেব্রিও ডি-জয়সাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ছয়টি প্রথম মাত্রার হত্যাকাণ্ড ও একটি হত্যাকাণ্ডের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ডি-জয়সা পরিবারটিকে চিনত আর ওই বাড়িতেই বসবাস করত।

নিহতরা হলেন ৩৫ বছর বয়সী এক নারী এবং তার ৭, ৪, ২ বছর বয়সী ও ২ মাস বয়সী চার সন্তান; এই পরিবারের পরিচিত ৪০ বছর বয়সী আরেকজন পুরুষ।

অটোয়ার স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১১টার একটু আগে জরুরি কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল বারহেভেনে যায়। পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েই পুলিশ কর্মকর্তারা দ্রুতই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে ফেলে আর কোনো ঘটনা ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করে।

কর্মকর্তারা এরপর ওই বাড়িটিতে ঢুকেন এবং হতাহতদের দেখতে পান।

সামাজিক মাধ্যমে করা এক পোস্টে অটোয়ার মেয়র মার্ক সাক্লিফ বলেছেন, “এটি আমাদের শহরে ঘটা অন্যতম সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা।”

কানাডায় নির্বিচার হত্যা বিরল ঘটনা। ১০ লাখ বাসিন্দার শহর অটোয়া ২০২৩ সালে ১৪টি খুন ও ২০২২ সালে ১৫টি খুনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে।