যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসেই শিকাগোয় শুরু হতে পারে এই অভিযান।
Published : 18 Jan 2025, 08:10 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি (সোমবার) শপথ নেবেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কর্মদিবস থেকেই শুরু হবে তার অবৈধ অভিবাসী আটক ও বিতাড়িত করার অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এবং ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থক এবং ট্রাম্প মনোনীত ‘সীমান্ত সম্রাট’ টম হোম্যান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরেই এই অভিযান শুরু করতে পারেন শিকাগোতে। এই নগরীতে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর বাস।
নির্বাচনী প্রচারকালে ট্রাম্প বলেছিলেন, তার অভিবাসী বিতাড়ন কর্মসূচি হবে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এই কর্মসূচি দেখভাল করবেন বলেও ট্রাম্প জানিয়েছেন।
ট্রাম্প নিযুক্ত কর্মকর্তা টম হোম্যানও এ সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে দেশজুড়ে বড় ধরনের অভিযান চালানোর কথা বলেছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, শিকাগো হবে গণহারে অভিবাসী বিতাড়নের ‘মূল কেন্দ্র’ (গ্রাউন্ড জিরো)।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সংস্থা দেশটিতে সব সময় অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসনের কাজ করে। এবার ট্রাম্পের শপথের পর সংস্থাটি অভিবাসীদের ‘আশ্রয়দাতা’ নগরীগুলোকে অভিযানের নিশানা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিকাগোর পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক সিটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো আরও অনেক নগরী অভিবাসীদেরকে ‘আশ্রয় দেওয়ার নীতি’ অনুসরণ করে।
গত মাসে শিকাগোতে রিপাবলিকান পার্টির এক সমাবেশে অংশ নিয়ে জনতার উদ্দেশে টম হোম্যান বলেছিলেন, ‘‘২১ জানুয়ারি আপনার নগরীতে অনেক আইসিই এজেন্টের উপস্থিতি দেখতে পাবেন; যারা অপরাধী ও গ্যাং সদস্যদের খুঁজে বের করবেন। তারিখ গণনা করুন। এটি ঘটবে।’’
অভিযান পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের অভিবাসী বিতাড়ন অভিযানের প্রথম দিকের নিশানা হতে চলেছে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, ডেনভার এবং মায়ামিও।
বর্তমান বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে বিশেষত- গুরুতর অপরাধী, সম্প্রতি সীমান্ত অতিক্রম করেছেন কিংবা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন- এমন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়ে আসছে।
তবে ট্রাম্পের টিম ইঙ্গিত দিয়েছে, তাদের আমলে অপরাধে জড়িত অভিবাসী থেকে শুরু করে সেইসব অবৈধ অভিবাসী- যারা বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এবং কাজ করে আসছেন; এমনকি কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই---তাদেরও গ্রেপ্তার এবং বিতাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।