ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘সর্বোচ্চ প্রভাব’ ফেলবে, বলেছেন তিনি।
Published : 28 Mar 2025, 02:20 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার পুরোনো সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
তিনি বলেছেন, দুই দেশের অর্থনীতির গভীর সংযোগ এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্কের অবসান ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার অটোয়ায় মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কার্নি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া শুল্কের মুখে কানাডীয়দের অবশ্যই ‘অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে’।
ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে যা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘সর্বোচ্চ প্রভাব’ ফেলবে বলেও কার্নি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বলেছে বিবিসি।
ট্রাম্প বুধবার জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। বলেছেন, “এটা স্থায়ী।”
লিবারেল পার্টির নেতা কার্নি বলেন, ১৯৬৫ সালে স্বাক্ষরিত কানাডা-মার্কিন অটোমোটিভ প্রোডাক্ট এগ্রিমেন্ট তার জীবনে দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।
“এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সেই চুক্তিও শেষ হয়ে গেল,” বলেছেন তিনি।
সরকার ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায় একসঙ্গে কাজ করলে কানাডার গাড়ি শিল্প ট্রাম্পের এই শুল্কের মুখেও টিকে থাকবে বলে আশা তার।
তিনি বলেন, কানাডাকে এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে, যা তারা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতেও হবে।
কানাডীয়রা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে কিনা তা-ই এখন দেখার বিষয়, বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে কানাডার সব ধরনের পণ্যে দেওয়া ২৫ শতাংশ শুল্ক আংশিকভাবে কার্যকর করেছে। অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত আমদানিতেও একই হারে শুল্ক বসিয়েছে তারা। প্রত্যুত্তরে কানাডা এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার) মূল্যের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি আমদানিতে নতুন যে শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন, তা ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়ি আমদানি করবে তাদেরকে পরদিন থেকে অতিরিক্ত চার্জও দিতে হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক কার্যকর হবে মে মাস বা তার পর থেকে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার শুল্কের পাল্টায় মিত্র দেশগুলো একসঙ্গে কোনো পদক্ষেপ নিলে তার পরিণতির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, “যদি তারা একসঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর আরও বড় পরিসরে শুল্ক আরোপ করা হবে।”