বারবাডোজসহ সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস, গ্রানাডা ও টোবাগোতে হারিকেনের সতর্কতা জারি হয়েছে।
Published : 01 Jul 2024, 06:20 PM
ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধেয়ে যাচ্ছে ‘চরম বিপজ্জনক’ হারিকেন বেরিল। অঞ্চলটিতে এই হারিকেন ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে আশঙ্কায় বিমানবন্দর ও ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অধিবাসীদেরকেও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ বারবাডোজের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে এই ঝড়। বেরিল বিপজ্জনক ঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এর বাতাসের তোড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে।
ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস, গ্রানাডা ও টোবাগোতেও হারিকেনের সতর্কতা জারি হয়েছে।
রোববার রাতে বেরিল অগ্রসর হতে থাকায় কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল হয়। নেতারা মানুষকে সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানান।
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাইনস এর প্রধানমন্ত্রী রালফ গঞ্জালভস মানুষজনকে ক্যারিবীয়ান অঞ্চলে এর আগে বয়ে যাওয়ার হারিকেনের তাণ্ডবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “এটি কোনও তামাশা নয়।”
রাষ্ট্রীয় বাসভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে গঞ্জালভস জানান, তিনি বাড়ির বেজমেন্টে আশ্রয় খুঁজছেন। তিনি বলেন, বাড়ির ছাদ, বিশেষত পুরোনো অংশটি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো বাতাসের ধাক্কা সামলাতে পারবে না। আমি নিচের বেজমেন্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হারিকেন বেরিলের শক্তি পরিবর্তন হচ্ছে। স্থানীয় সময় রোববার বেরিল ৪ ক্যাটাগরির ঝড়ে রূপ নেয়। পরে বাতাসের গতিবেগ কমে এটি ক্যাটাগরি ৩ এ পরিণত হয়েছে।
ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস এবং গ্রানাডায় এই হারিকেনে ক্ষয়ক্ষতির সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
বারবাডোজের প্রধানমন্ত্রীও নাগরিকদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনি এবং আমি জানি কখন এসবকিছু ঘটবে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য প্রস্তু থাকা এবং সর্বোচ্চ ভালর জন্য দোয়া করা ভাল।”