খারাপ বিতর্কের পরও ট্রাম্পের সমান জনসমর্থন টানলেন বাইডেন

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন ভাল করতে না পারলেও ভোটারদের মধ্যে সমর্থনের দিক থেকে দুইজনই সমানে সমান- বলছে নতুন রয়টার্স/ইপসোস জরিপের ফল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নভেম্বরের নির্বাচনী দৌড়ে জয় পেতে তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমান জনসমর্থন নিজের পক্ষে টানতে পেরেছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সিএনএন-এর স্টুডিওতে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন ভাল না করতে পারলেও ভোটারদের মধ্যে সমর্থনের দিক থেকে দুইজনই সমানে সমান অবস্থানে চলে এসেছেন- এমনটিই দেখা গেছে নতুন রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত জরিপে।

মঙ্গলবার পরিচালিত দুই দিনের এই জরিপে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে বাইডেন এবং ট্রাম্প দুইজনই ৪০ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন। এতে হোয়াইট হাউজের দৌড়ে দুইজনেরই আরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

নতুন এই জরিপের আগে গত ১১-১২ জুনে রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত আরেকটি জরিপে বাইডেনের থেকে ট্রাম্পকে মাত্র ২ শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, যা ছিল ৪১ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশ।

বাইডেন মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন যে, ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে তিনি ততটা ভাল করতে পারেননি। মঞ্চে তিনি প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এর জন্য বিতর্কের আগে আকাশপথে দুটি বিদেশ সফরের পর ক্লান্তি ভাব একটি কারণ ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাইডেনের এই দুর্বল পারফরমেন্সের কারণে সিএনএন এর তাৎক্ষণিক জরিপে দেখা যায়, ট্রম্পই জয়ী হয়েছেন। আর ডেমোক্র্যাট শিবিরে দেখা দেয় হতাশা এবং আতঙ্ক। বাইডেনকে সরানো নিয়েও দলে আলোচনা শুরু হয়।

নতুন রয়টার্স/ইপসোস জরিপের ফলে বাইডেন-ট্রাম্পের জনসমর্থন সমান দেখা গেলেও ডেমোক্র্যাটদের বেশিরভাগই এখনও বাইডেনের নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়া উচিত মনে করেন- এমনটিও উঠে এসেছে।

দেখা গেছে, বিতর্ক অনুষ্ঠানের পর ডেমোক্র্যাটদের প্রতি তিনজনে একজন মনে করেন, বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত। তবে বাইডেন এখনও তা করতে রাজি নন।

ওদিকে, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে পাঁচজনে একজনই বলেছেন, তারা কাকে ভোট দেবেন সেটি নিশ্চিত নন; তারা একজন ভিন্ন প্রার্থীকে বেছে নেবেন, নাকি ভোটই দেবেন না তা জানেন না।

জরিপে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। জুন মাসে একটি জরিপে দেখা গিয়েছিল, বাইডেন ব্যালটে থাকলে তাকে ভোট দেবেন ১০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার।

বাইডেন এবং ট্রাম্প দুইজনেরই গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়-দায়িত্ব আছে। বাইডেনের জন্য এসব দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তার ৮১ বছর বয়স নিয়ে উদ্বেগ আছে, যে উদ্বেগ ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিতর্কের পর আরও বেড়ে গেছে।

রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত নতুন জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাটদের ৮৩ শতাংশ এবং রিপাবলিকানদের ৯৭ শতাংশই মনে করে বাইডেন বিতর্কে হোঁচট খেয়েছেন এবং তিনি যে বুড়িয়ে গেছেন, তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

আর ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এমন মত পোষণ করেন মাত্র ৫৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ১১ শতাংশ রিপাবলিকান।