এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভেঙে পড়া অর্থনীতি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নতুন ভবিষ্যতের আশায় আছে দেশটি।
Published : 26 Jul 2024, 06:30 PM
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়া শ্রীলংকায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
শুক্রবার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র ১৫ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এবারের নির্বাচনের ওপর দেশের ভাগ্য নির্ভর করছে। গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন শ্রীলংকায় অর্থনৈতিক সংস্কারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ এই নির্বাচনি দৌড়ে নামছেন। তিনি এরই মধ্যে প্রার্থিতার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন- মার্কসিস্ট-পন্থি দল জেভিপি নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েক, সাবেক সেনাপ্রধান সারথ ফনসেকা এবং আইনমন্ত্রী ও এসএলএফপি দলের নেতা বিজয়াদশা রাজাপাকসে।
২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলংকার সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পরে তিনি পদত্যাগ করলে দায়িত্ব নেন ৭৫ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে নির্বাচিত রাজাপাকসের পাঁচ বছরের মেয়াদের বাকি সময়টুকু রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বিক্রমাসিংহেকে নির্বাচিত করে পার্লামেন্ট।
কলম্বোভিত্তিক ‘সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভ’ এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ভবানী ফনসেকা বলেন, “শ্রীলঙ্কার জন্য সময়টি গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন ডাকা খুবই জরুরি। তবে এখন নির্বাচন কমিশনকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়।”
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি ডলারের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্যাকেজের (বেইলআউট) সহায়তায় দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলংকার অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছেন বিক্রমাসিংহে।
তিনি মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের ৭০% থেকে জুনে ১ দশমিক ৭% এ নামিয়ে এনেছেন। রুপিকে শক্তিশালী করেছেন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও পুনর্গঠন করেছেন। এবছর শ্রীলংকার অর্থনীতি ৩% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।