ভিন্ন সম্প্রদায়ের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের দায়ে গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে ২০ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে অন্তত ১৩ জন পুরুষ।
Published : 23 Jan 2014, 02:28 PM
মধ্যযুগীয় এই বর্বরতা ঘটেছে সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায়, বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী মেসো ও দাদারা দলবেঁধে সারারাত ধরে তাকে ধর্ষণ করে, এতে বেশ কয়েকবার তিনি সংজ্ঞা হারান।
তিনি বলেন, “গ্রামের বাবার বয়সী লোকেরা আমাকে ধর্ষণ করেছে।”
তার জবানবন্দি অনুযায়ী ১৩ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বীরভূমের ওই গ্রামের নাম সুবলপুর। ওই তরুণীর প্রেমিক ছেলেটিকে তাদের ঘরে দেখতে পেয়ে এলাকার মুরুব্বিরা দুজনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর সালিশ বসিয়ে ওই দুজনের প্রত্যেককে ২৫ হাজার রুপি করে ‘জরিমানা’ করা হয়।
কিন্তু তরুণীর পরিবার ‘জরিমানা’র অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গ্রামের মোড়ল তার সাঙ্গপাঙ্গদের ‘মাস্তি করে’ নিতে বলেন বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এরপর ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সারারাত ধরে চলে নির্যাতন। পরে মেয়েটির বন্ধুর বড় ভাই ‘জরিমানা’ পরিশোধ করে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
বুধবার তরুণীর পরিবার কাউকে না জানিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে এবং মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বীরভূম ভারতের বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির নিজের জেলা।
সম্প্রতি কলকাতার নিকটবর্তী মধ্যগ্রাম জেলায় একই দলের হাতে দুইবার ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করে ধর্ষণকারীদের আত্মীয়-স্বজন। ওই ঘটনায় রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া অবস্থায় বীরভূমের ঘটনাটি ঘটলো।