মিশরের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুর প্রস্তাবিত নির্বাচন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে মুসলিম ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এই পরিকল্পনা দেশকে আবার তাহরির স্কয়ারে নিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
Published : 09 Jul 2013, 09:40 AM
সোমবার রাতে নির্বাচনের পরিকল্পনা প্রকাশ করে এক ডিক্রি জারি করেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মনসুর। মঙ্গলবার মুসলিম ব্রাদারহুড নেতারা ওই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলে বিবিসি জানায়।
ব্রাদারহুডের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এসাম আল এরিয়ান বলেছেন, “সংবিধান পরিবর্তন ও আগামী বছরের নির্বাচনের ঘোষণা দেশকে আবার এক নম্বর চত্বরে নিয়ে যাবে।”
এক সপ্তাহ ধরে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার পর গত সপ্তাহে সেনাবাহিনী মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
মুরসি মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থনে গঠিত রাজনৈতিক দল ‘ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস’ পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন।
সোমবার কায়রোর একটি সেনা ছাউনির সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভরত মুরসি সমর্থকদের ওপর সেনবাহিনীর গুলিবর্ষণে ৫১ জন নিহত হয়। এই সেনা ছাউনিতেই মুরসিকে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছিলেন মুরসি সমর্থকরা।
এর কয়েক ঘন্টা পর নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরে নির্বাচন পরিকল্পনা ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মনসুর।
মুসলিম ব্রাদারহুডের অভিযোগ, ছাউনির সামনে অবস্থান ধর্মঘট করার সময় বিনা উস্কানিতে সেনারা তাদের সদস্যদের লক্ষ্ করে গুলি চালায়। জবাবে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সশস্ত্র প্রতিরোধের মোকাবিলায় গুলিবর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছে।
মনসুর ঘোষিত পরিকল্পনায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্থগিত করা ইসলামপন্থীদের প্রস্তবাতি খসড়া সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি একটি প্যানেল গঠণের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। সংস্কারের পর সংবিধানের ওপর একটি গণভোট হবে, যা পরবর্তী চারমাসের মধ্যে গ্রহণ করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা সম্ভবত আগামী ২০১৪ সালের প্রথমদিকে অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন পার্লামেন্ট গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করা হবে।