তৃতীয় মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নওয়াজ শরীফ, প্রায় ১৪ বছর আগে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন যিনি।
Published : 05 Jun 2013, 09:42 AM
বুধবার পার্লামেন্ট সদস্যদের সরাসরি ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান। পার্লামেন্টের ৩৪২ সদস্যের মধ্যে ২৪৪ জনেরই সমর্থন পান তিনি। আর প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টির মাখদুম আমিন ফাহিম ৪২ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের জাভেদ হাশমী পেয়েছেন ৩১ জনের সমর্থন।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির কাছে সন্ধ্যায় শপথগ্রহণের কথা রয়েছে নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের। ১৯৯৯ সালের ২২ অক্টোবর
জেনারেল পারভেজ মুশাররফের কাছে ক্ষমতা হারান তিনি। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর সন্ত্রাসদমন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় নওয়াজকে। লেবাননের প্রয়াত নেতা রফিক হারির তৎপরতায় কারাবাসের বদলে সৌদি আরবেন নির্বাসিত হওয়ার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ২০০৭ সালে নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরেন পিএমএল-এন নেতা। পরের বছর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও হেরে যান নির্বাচনের কয়েক দিন আগে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির কাছে। প্রায় ১৪ বছর পর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারো সেনাশাসনের পাকে থাকা পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ পেলেন ৬২ বছর বয়সী নওয়াজ, যাকে ভাগ্যবান নওয়াজ বলে আখ্যায়িত করছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণে পাকিস্তানের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন নওয়াজ শরীফ।
নবনির্বাচিত এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা অন্যদের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি এবং তাদেরও আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। এই হামলা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে।”
এছাড়া তালেবানের সন্ত্রাসী তৎপরতা, বেকারত্ব ও ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটের মতো বিষয়গুলো সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
গত ১১ মে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নওয়াজের দল পিএলএম-এন।