ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অবসানে গণজাগরণের ঢেউ সৃষ্টি করে সাহসিকতার প্রতীক হয়ে ওঠা ওই তরুণীকে মরণোত্তর সম্মাননা পদক ২০১৩ সালের ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড‘ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর ১৬ ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর প্রায় দু’সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যায় মেয়েটি।তার এ মৃত্যুতে ভারতজুড়ে সর্বস্তরে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পৈশাচিকতার শিকার হয়েও বাঁচার জন্য লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ‘নির্ভয়া’ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া ওই তরুণী লাখো ভারতীয় নারীকে সংগ্রামী হতে উদ্বুদ্ধ করেছে, সূচনা করেছে নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের।মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ও ন্যায়বিচারের জন্য সে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে তাকে সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার।
এতে আরো বলা হয়, ওই তরুণী হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সাহসের সঙ্গে পুলিশকে জবানবন্দি দিয়েছে এবং বার বারই ধর্ষকদের বিচার দাবি করেছে।সে বিচার দেখার জন্য বেঁচে থাকারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সে।
মেয়েটির মৃত্যুর পর নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঠেকাতে তার পরিবারের চলমান লড়াইও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
আগামী শুক্রবার মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ পুরস্কার তুলে দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।দিল্লির ওই তরু ণীর সঙ্গে এ পুরস্কার পাচ্ছে আরো ৯ নারী।