সামরিক অভিযানের জন্য `বিপুল অর্থসম্পদ লাগছে রাশিয়ার’

ইউক্রেইনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়ার বিপুল অর্থসম্পদ প্রয়োজন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2022, 11:20 AM
Updated : 28 May 2022, 11:20 AM

শুক্রবার তিনি অর্থনীতির জন্য বাজেটে ৮ ট্রিলিয়ন রুবল বা ১২০ বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা রাখার কথাও জানিয়েছেন।

রাশিয়া চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে লাখো সেনা পাঠিয়েছে, যার পাল্টায় পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।

সেসব নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে রাশিয়ার মূল্যস্ফীতি ১৮ শতাংশের কাছে নিয়ে গেছে এবং দেশটিকে মন্দার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“বিশেষ অভিযানের জন্য অর্থ, ব্যাপক সম্পদের প্রয়োজন হচ্ছে,” মস্কোর একটি আর্থিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া লেকচারে বলেন সিলুয়ানভ।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগেই রাশিয়ানদের মূল্যস্ফীতির করাল গ্রাস ভুলিয়ে দিতে পেনসন ও ন্যূনতম মজুরি ১০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ দিলেও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সবই ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন ভাষ্য অস্বীকার করেছেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের নতুন নির্দেশের ফলে চলতি বছর রাশিয়ার কেন্দ্রীয় বাজেটে ব্যয় হবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুবল, আগামী বছর লাগবে প্রায় এক ট্রিলিয়ন রুবল, কয়েকদিন আগে এমনটাই বলেছিলেন সিলুয়ানভ।

শুক্রবার পরের দিকে সম্প্রচারিত এক টিভি সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার এ মন্ত্রী জানান, তারা এ বছর তেল ও গ্যাস থেকে অতিরিক্ত এক ট্রিলিয়ন রুবল পর্যন্ত আয় করতে পারেন, যে অর্থ ক্রমবর্ধমান সমাজকল্যাণ খরচ মেটাতে কাজে লাগানো হবে।

শুক্রবার সকালে সিলুয়ানভ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাল্টায় ‘অবন্ধু দেশগুলোর’ বিনিয়োগকারীদের সম্পদ জব্দ ও মূলধনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে মস্কোর পদক্ষেপের পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন।

“আমরা সেই প্রক্রিয়াতেই রাশিয়ায় অবন্ধু দেশগুলো থেকে আসা বিদেশিদের বিনিয়োগ নিজেদের কাছে রাখবো, যে প্রক্রিয়ায় তারা আমাদের সোনা ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রেখেছে,” রাশিয়ার আন্তর্জাতিক রিজার্ভ জব্দে পশ্চিমা দেশগুলোর পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন সিলুয়ানভ।

তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা না উঠবে কিংবা রিজার্ভ ফিরিয়ে দেওয়া হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ওপর এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।