ইসরায়েলে শীর্ষ আরব, ইসরায়েলি ও মার্কিন কূটনীতিকদের বৈঠকের আগে আরব বন্দুকধারীদের বিরল এক হামলায় দুই ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হয়েছে।
Published : 28 Mar 2022, 05:30 PM
রোববার রাতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হওয়া এ হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে এবং পুলিশের পাল্টা গুলিতে ওই দুই আরব হামলাকারীও নিহত হয়েছে, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে ইসরায়েল চতুর্থ হামলার ঘটনা ঘটল। আগামী মাসে ইহুদিদের পাসওভার, খ্রিস্টানদের ইস্টার ও মুসলিমদের রোজার আগে ইসরায়েলজুড়ে এ ধরনের হামলার ঘটনা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাধারণত এই সময়টিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। গত রমজানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজার মধ্যে ১১ দিনব্যাপী ভয়াবহ যুদ্ধ হয়।
ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় হাদেরা শহরে হওয়া হামলাটিতে দুই জন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। দুই হামলাকারীর কাছেই স্বয়ংক্রিয় ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি তাদের। হামলাটি পরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।
পরে পুলিশ আরও বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির ছবি বিতরণ করে জানায়, হামলাকারীরা এসব অস্ত্র বহন করছিল। ইসরায়েলে হওয়া সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে কোনো একজন নিঃসঙ্গ হামলাকারী ছুরি ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এবার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই আরবের হামলাকে ব্যতিক্রমী বলে মনে করছেন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
সোমবার দক্ষিণ ইসরায়েলের সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, বাহরাইন, মরক্কো, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হচ্ছে। এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইসরায়েলে উপস্থিত হওয়ার দিনই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা উর্দি পরা দুই ব্যক্তি হেঁটে একটি রাস্তা পার হচ্ছে এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের গোপন ইউনিটের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই বন্দুকধারীরা দুই জনকে হত্যা করে। হামলাকারীরা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
জরুরি মেডিকেল গ্রুপগুলো জানিয়েছে, তারা আরও অন্তত তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।
এ হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি উগ্রবাদী গোষ্ঠী এ হামলার প্রশংসা করেছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।