‘হত্যার’ তালিকা: যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলল ক্রেমলিন

ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানো হলে যেসব ইউক্রেনীয়কে হত্যা করা হবে তাদের তালিকা রাশিয়া তৈরি করেছে বলে যে দাবি যুক্তরাষ্ট্র করেছে তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত বাথশেবা ক্রোকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেটকে এ বিষয়ে একটি চিঠিটি লিখেছেন বলে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকায় খবর প্রকাশ পেয়েছে।

চিঠিতে ক্রোকার লেখেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে তারা যে খবর হাতে পেয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, “ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের ঘটনায় মস্কো সেখানে কাকে কাকে হত্যা করা হবে, গুম করা হবে বা নির্যাতন ক্যাম্পে পাঠানো হবে তার তালিকা তৈরি করছে।”

মস্কোয় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকেও রাশিয়ায় অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সম্ভাব্য হামলার মুখে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের রাশিয়া ছাড়ার পরিকল্পনা করা উচিত।

হত্যা তালিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তাকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন পেসকভ। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেইনের পরিস্থিতি এখনও ‘উদ্বেগজনক’।

গত সপ্তাহে পূর্ব ইউক্রেইনে নতুন করে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে। গত নভেম্বর থেকে ইউক্রেইন সীমান্তে ‍ভারি অস্ত্রশস্ত্রসহ রাশিয়ার দেড় লাখের বেশি সেনা জড়ো করে। সবই আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পশ্চিম বিশ্ব থেকেও একই আশঙ্কা প্রকাশ করে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগেই বৈঠক করেছেন। এখন ফ্রান্সের উদ্যোগে ইউক্রেইন সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরাসরি আলোচানায় বসানোর চেষ্টা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘নীতিগতভাবে’ ওই আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন বলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে। যদিও ক্রেমলিন দুই নেতার আলাচনার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে। তবে বলেছে, আলোচনার পথ এখনও খোলা আছে।

পেসকভ বলেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন এখন পর্যন্ত এতটুকুতে একমত হওয়া গেছে। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে বা অন্য কোনও মাধ্যমে পরষ্পরের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।”