কোভিডের কারণে ২০২০ সালে ম্যালেরিয়ায় ৬৯০০০ বেশি মৃত্যু

ম্যালেরিয়ায় আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ৬৯ হাজার বেশি মানুষের মৃত্যুর পেছনে করোনাভাইরাস মহামারীতে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হওয়ার বড় ধরনের ভূমিকা আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2021, 10:02 AM
Updated : 7 Dec 2021, 10:02 AM

তবে পরিস্থিতি এরচেয়েও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা এড়ানো গেছে, বলেছে তারা।

ডব্লিউএইচও’র ম্যালেরিয়া বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে যে ৬ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে, তার অধিকাংশই আফ্রিকার দরিদ্রতম অংশে বসবাসকারী শিশু। ২০১৯ সালে বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু ছিল ৫ লাখ ৫৮ হাজার।

২০২০ সালে বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় মোট মৃত্যুর ৯৬ শতাংশই আফ্রিকায় হয়েছে বলে প্রতিবেদটিতে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মহামারী শুরুর পর এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের হিসাবে মহাদেশটিতে কোভিডে প্রাণ গেছে মোট ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষের।

ডব্লিউএইচও বলছে, ২০২০ সালে ম্যালেরিয়ায় আগের বছরের তুলনায় যে অতিরিক্ত মৃত্যু দেখা গেছে তার প্রায় দুই তৃতীয়াংশই হয়েছে করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের কারণে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, শনাক্ত ও চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার কারণে।

সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে ২০২০ সালে ম্যালেরিয়ায় দ্বিগুণ মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল, কিন্তু নানান প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টার ফলে তেমনটা হয়নি।

২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ওই এলাকায় ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু মাত্র ১২ শতাংশ বেড়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে জানানো হয়েছে।

“দ্রুত ও কঠোর প্রচেষ্টার কারণে আমরা দাবি করতে পারি যে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়ানোর ক্ষেত্রে পৃথিবী সফল হয়েছে,” বলেছেন ডব্লিউএইচও’র বৈশ্বিক ম্যালেরিয়া কর্মসূচির পরিচালক পেদ্রো আলোনসো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম ম্যালেরিয়ার একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে, যা প্রাণঘাতী এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইকে গতি দেবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। ব্রিটিশ ওষুধনির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ওই টিকাটি আফ্রিকার শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিতরণ করা উচিত বলেও পরামর্শ তাদের।