সংস্থাটি বলছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ভাইরাসের বিস্তার কিছু সময়ের জন্য দমিয়ে রাখা যেতে পারে, কিন্তু কেবল নিষেধাজ্ঞা দিয়েই কাজ হবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর আসার পর উচ্চ-ঝুঁকির এই দেশ থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়ায় এখন এই ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ ঘটার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে সদ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ৫ রাজ্যে ধরা পড়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ সবখানেই ওমিক্রন এরই মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ টি প্রদেশের ৭ টিতেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় বহু দেশের সরকারই ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক তাকেশি কাসাই গণমাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে হাতে কিছুটা সময় মিলতে পারে। কিন্তু প্রতিটি দেশ এবং প্রতিটি কমিউনিটিকে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে।”
“মানুষের কেবল সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে থাকা উচিত নয়। এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল অতি সংক্রামক এই ধরন মোকাবেলার প্রস্তুতি রাখা। এই ধরন সম্পর্কে এ পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে তাতে এটাই বোঝা যায় যে, আমরা যে পথে আছি তা পরিবর্তন করতে হবে না,” বলেন তিনি।
বিশ্বের দেশগুলোকে ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষজনকে পূর্ণ ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া এবং মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পদক্ষেপে অটল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কাসাই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহে ওমিক্রন ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের চেয়ে ওমিক্রন আরও বেশি দ্রুত ছড়াতে পারে বলেই ধারণা প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও।
তাই কতটা দ্রুত এই ধরন ছড়াচ্ছে তা জানতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার নতুন কোভিড আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহে তৎপর হয়েছে, যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং নতুন ধরন ওমিক্রনের ভাইরাল জিনোম উন্মোচন করা হচ্ছে।