সৌদি আরবের ৫ শহরে ও আরামকোর স্থাপনায় হামলার দাবি হুতিদের

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদসহ কয়েকটি শহরে ও দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর জেদ্দার স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতিরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2021, 06:40 PM
Updated : 20 Nov 2021, 07:30 PM

শনিবার তারা জানিয়েছে, সৌদি আরবের ওইসব লক্ষ্যে ১৪টি বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা।

ইয়েমেনে হুতিদের সঙ্গে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী শুক্রবার জানিয়েছিল, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশ্যে হুতিদের পাঠানো তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা এবং চতুর্থ আরেকটি ইয়েমেনের ওপরেই ধ্বংস করেছে। 

জোট বাহিনী বলেছে, হুতিরা ‘দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে ব্যর্থ হয়েছে’ আর সেগুলো ইয়েমেনের ভেতরেই পড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা সৌদি আরামকোর সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোম্পানিটি প্রথম সুযোগেই সাড়া দেবে বলে জানিয়েছিল।

এক সংবাদ সম্মেলনে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, তারা জেদ্দায় আরামকোর তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে, পাশাপাশি রিয়াদ, জেদ্দা, আভা, জিজান ও নাজরানের সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতেও হামলা চালিয়েছে।

রয়টার্স বলেছে, সারিয়ার বক্তব্যে কিছু ভুল ছিল। তিনি জেদ্দার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম ভুল বলেছেন এবং সৌদি আরবের বাদশা খালেদ ঘাঁটি রিয়াদে বলে উল্লেখ করেন, প্রকৃতপক্ষে ঘাঁটিটি সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।

শনিবার পরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট জানায়, তারা ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সময় ১৩টি লক্ষ্যস্থলে হামলা চালিয়েছে।

অভিযানে জোট বাহিনী সানা, সাদা ও মারিব শহরের অস্ত্র গুদাম, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও ড্রোন কমিউনিকেশন সিস্টেমে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। 

আরামকোর জেদ্দা তেল শোধনাগার ২০১৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তবে সেখানে কোম্পানিটির পেট্রলিয়াম পণ্য বিতরণের প্লান্ট আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মার্চে এই প্লান্টটিতে হামলা চালিয়েছিল হুতিরা। 

হুতিরা ইয়েমেনের সৌদি আরব সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানা থেকে বের করে দেওয়ার পর ২০১৫ সালের মার্চে দেশটির গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। তারপর থেকে হুতিরা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সৌদি আরবে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে।

ইয়েমেনে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চেষ্টা চালানো হলেও সেই প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে আছে।    

ইয়েমেনের এ লড়াইকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান একটি ছায়া যুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। সামরিকভাবে এই লড়াইয়ে অচলাবস্থা চললেও ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের শেষ শক্তিকেন্দ্র মারিব দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে হুতিরা, পাশাপাশি অন্য এলাকাগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।