আফগানিস্তানকে রক্ষা করা দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 10 Aug 2021, 10:57 AM
সোমবার তালেবান সীমান্ত শহর ও বাণিজ্যিক রুটগুলোসহ দেশটির ষষ্ঠ প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এ মন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিন তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সামানগান প্রদেশের রাজধানী আইবাকের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
আইবাকের আইনপ্রণেতা জিয়াউদ্দিন জিয়া বলেন, “এ মূহুর্তে পুলিশ সদরদপ্তর ও প্রাদেশিক গভর্নরের কম্পাউন্ড নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য আফগান বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে তালেবান। তালেবানের কাছে রাজধানীর অনেক এলাকার পতন হয়েছে।”
শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে তালেবান পাঁচটি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে, নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারাঞ্জ, জাওজান প্রদেশের রাজধানী শেবারগান, কুন্দুজ প্রদেশের রাজধানীর কুন্দুজ। সার-ই-পুল প্রদেশের রাজধানী সার-ই-পুল এবং তাখার প্রদেশের রাজধানী তালোকান।
এর মধ্যে কুন্দুজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী। কারণ, কুন্দুজের সঙ্গে অন্যান্য এলাকা বিশেষ করে রাজধানী কাবুলের খুব ভালো সংযোগ রয়েছে।
তালেবানের এই অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কিন্তু এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই করার ক্ষমতা আছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (পেন্টাগন) মুখপাত্র জন কিরবি মন্তব্য করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তাদের সামরিক বাহিনী, তাদের প্রাদেশিক রাজধানী, তাদের জনগণকে তাদেরই রক্ষা করতে হবে, এ বিশেষ মূহুর্তে এই অবস্থা থেকে তারা বের হয়ে আসতে ইচ্ছুক কিনা তা তাদের নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে।”
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী লড়াই চালিয়ে যেতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কী করতে পারে, এমন প্রশ্নে কিরবি বলেন, “বেশি কিছু করার নেই।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিশন ৩১ অগাস্ট শেষ হবে। “আফগানিস্তানের জনগণকেই তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে” জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রজন্মকে ২০ বছর ধরে চলা ওই যুদ্ধে ঠেলে দেবেন না বলে বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বাইডেনকে সতর্ক করে বলেছিল, সেনা প্রত্যাহার করে নিলে প্রাদেশিক রাজধানীগুলোর পতন হতে পারে; কিন্তু তালেবান এত তাড়াতাড়ি সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির দখল নিয়ে নেওয়ায় তারাও বিস্মিত হয়ে আছেন।
শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে তালেবান একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিমান হামলা চালিয়েছিল, একটি হামলায় শুধু কিছু সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছিল।
কিন্তু তালেবান কুন্দুজ দখল করে নেওয়ার সময় আফগান বাহিনী তাদের কাছে কোনও ধরনের সমর্থন চায়নি বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।