ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ইব্রাহিম রাইসি

ইরানে গত জুনে নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ইব্রাহিম রাইসি। পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2021, 03:40 PM
Updated : 5 August 2021, 06:13 PM

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় শপথ শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রীতি অনুযায়ী হাসান রুহানিও উপস্থিত ছিলেন। গত ১৮ জুন ইরানে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন রাইসি।

মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানে অভিষেক অনুষ্ঠানে আগামী চার বছরের জন্য রাইসিকে অনুমোদন দেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। অনুষ্ঠানে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে যোগ দিয়েছিলেন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

অভিষেকের পরই রাইসি যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা থেকে দেশকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা তোলার পদক্ষেপ নেব। তবে এর জন্য জনগণের জীবনযাত্রা এবং অর্থনীতিকে কোনও শর্তাধীনে রাখব না কিংবা তা বিদেশিদের মর্জিমত চলতে দেব না।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ইরান ঘরে –বাইরে ক্রমবর্ধমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে থাকার সময়টিতেই প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হলেন রক্ষণশীল নেতা রাইসি। তার আমলে ইরানে সব শাখার ক্ষমতা থাকবে খামেনির অনুগত পশ্চিমা বিরোধী কট্টরপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে |

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পার্লামেন্ট এবং বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে রাইসি বলেন, “পবিত্র কুরআন নিয়ে জাতির সামনে আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে দেশ, ধর্ম এবং দেশের সংবিধান সুরক্ষিত রাখার শপথ করছি।”

দেশের সেবা করা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, “ইরানের জনগণ আশা করে নতুন সরকার তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে… ইরানি জাতির ওপর আরোপিত সব অবৈধ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।”

রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ২০১৫ সালের ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনাকে তিনি স্বাগত জানান, তবে তাতে ইরানের জাতীয় স্বার্থের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে সরে এসে ২০১৮ সালে ইরানের ওপর সব পুরানো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পাশপাশি নতুন আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। আর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ইরানিদের অবস্থাও আরও খারাপ হয়েছে।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়ে রাইসি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে তিনি ‘যে কোনও কূটনৈতিক পরিকল্পনাকেই’ সমর্থন দেবেন।