কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূর্তি ঘিরে নানা আয়োজন চলছে চীনে। বৃহস্পতিবার পালিত হতে চলেছে এই বর্ষপূর্তি।
Published : 30 Jun 2021, 10:40 PM
এ উপলক্ষ্যে ওইদিন রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েন আনমেন চত্বরে 'গুরুত্বপূর্ণ' বক্তব্য রাখবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মাও সেতুং পরবর্তী সময়ে চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা শি। তার অধীনে কমিউনিস্ট পার্টি চীনে আরও ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে। কোভিড মহামারী জয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অবস্থান শক্ত করা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই এগিয়েছে চীন।
গোপনীয়তা রক্ষা ও কড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে বৃহস্পতিবার শত বর্ষপূর্তি পালনের দিনটিতে ঠিক কী কী আয়োজন থাকছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে।
তবে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ওড়ানো হতে পারে এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দলটির দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সদস্যদের সম্মানার্থে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট শি বলেন, “গত ১০০ বছরে চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন এবং মানবতার প্রসারের ইতিহাসে এক যুগান্তকরী অধ্যায় রচনা করেছে কমিউনিস্ট পার্টি।”
শি জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ২০১২ সালে তিনি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হন এবং ২০১৩ সালের মার্চে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হন। এরপরই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরেন তিনি। তার সময়েই কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে ৯ কোটির বেশি সদস্য রয়েছে এ দলে।
তবে পার্টি শক্তিশালী হলেও শি জিনপিং- এর আমলে চীনকে অনেক চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। হংকং, শিনজিয়াং, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে চীন। এ সমস্ত ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে চীনের উত্তেজনাও বেড়েছে।
আবার কোভিডের উৎপত্তি এবং প্রথমদিকে তা সামাল দেওয়া নিয়ে অস্পষ্টতার কারণেও চীন আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপের মুখে আছে। তবে এতকিছুর পরও দেশে কমিউনিস্ট পার্টির জনপ্রিয়তা কমেনি। এখনও এ পার্টিকে আরও ১০০ বছর ক্ষমতায় দেখতে আগ্রহী অনেকেই।