২০ বছরে ফ্রান্সের সমান আয়তনের বনাঞ্চলে ছেয়েছে বিশ্ব

গত ২০ বছরে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিকভাবেই নতুন করে বেড়েছে বন। যার মোট আয়তন ফ্রান্সের সমান বলে দাবি করেছেন একদল গবেষক।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 06:31 PM
Updated : 11 May 2021, 06:31 PM

তারা বলছেন, এই আয়তনের বনাঞ্চল বায়ুমণ্ডল থেকে ৫ দশমিক ৯ গিগাটন কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নিঃসরণ হয় এর পরিমাণ তার থেকে বেশি।

ডব্লিউডব্লিউএফ নেতৃত্বাধীন গবেষকদের ওই দলটি ভূউপগ্রহের তথ্য সংগ্রহ করে প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় জন্ম নেওয়া ওই বনের একটি ম্যাপ তৈরি করেছেন বলে জানায় বিবিসি।

ডব্লিউডব্লিউএফ এর উইলিয়াম ব্লাডউইন বলেন, প্র্রকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া বন ‘মানুষের তৈরি বনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত অনকে কম খরচে তৈরি হয় এবং এটির কার্বন শোষণ ক্ষমতাও বেশি থাকে। জীববৈচিত্র্যেও অনন্য।

“কিন্তু তার মানে এই নয় যে, প্রকৃতিকভাবে বনায়ন হচ্ছে বলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গাছ লাগানো এবং বনায়ন সৃষ্টি বন্ধ করা যাবে। এখনও প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ হেক্টর বন ধ্বংস করা হচ্ছে। পুনঃবনায়নের তুলনায় যার পরিমাণ অনেক অনেক বেশি।”

তিনি বন ধ্বংস করা রোধে কঠোর আইন প্রয়োগের পরামর্শও দেন। বলেন, ‘‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বনায়নের ইতিবাচক ভূমিকা কতটুকু তা বুঝতে আমাদেরকে জলবায়ু রক্ষায় পুনঃবনায়ন পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে হবে এবং যারা বন ধ্বংস করছে তাদের অবশ্যই আটকাতে হবে।”

যেসব জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় গাছ জন্মেছে তার অন্যতম ব্রাজিলের অ্যাটলান্টিক ফরেস্ট। গবেষকরা জানান, সেখানে ২০০০ সাল থেকে প্রকৃতিকভাবে যে পরিমাণ বন তৈরি হয়েছে তা আয়তনে নেদারল্যান্ডসের সমান।

এছাড়া গত ২০ বছরে মোঙ্গলিয়ায় ১২ লাখ হেক্টর জমিতে প্রাকৃতিক বনায়ন হয়েছে। আরও যেসব অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে বনায়ন হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগই মধ্য আফ্রিকা এবং কানাডায়।