বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ‘চমৎকার’ সম্পর্কের আশা সৌদি আরবের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ‘চমৎকার’ হবে, এমনটাই আশা করছে সৌদি আরব।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2021, 05:27 PM
Updated : 23 Jan 2021, 05:27 PM

শনিবার আরাবিয়া টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।

ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তারা নিয়মিত ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

“আমি আশাবাদী। বিভিন্ন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে সৌদি আরব দৃঢ়, ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই ধারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গেও বজায় রাখবো আমরা,” বলেছেন প্রিন্স ফয়সাল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। ২০১৯ সালে এই রাষ্ট্রটিকে ‘সামাজিকভাবে অনুন্নত’ বলে বর্ণনা করেছিলেন তিনি। সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ড ও ধ্বংসাত্মক ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে তিনি কঠোর অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন। 

অপরদিকে প্রিন্স ফয়সাল বলেছেন, ইরান পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরামর্শ করা অব্যাহত রাখবে রিয়াদ।

২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরান একটি পারমাণবিক চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির অধীনে তাদের ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বদলে নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচী হ্রাস করেছিল ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পাল্টায় ‍চুক্তির শর্ত থেকে একটু একটু করে সরে যেতে শুরু করে ইরান।

এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, তেহরান চুক্তি কঠোরভাবে মেনে চলা শুরু করলে ওয়াশিংটনও করবে। 

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এর উপসাগরীয় মিত্ররা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও দেশটির আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের নেটওয়ার্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করার ট্রাম্পের নীতিতে উজ্জীবিত এই দেশগুলো পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়া ও ফের ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়াতে সমর্থন জানিয়েছিল।

এখন তারা বলছে, বাইডেন প্রশাসন ও ইরানের মধ্যে নতুন কোনো পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে সম্ভাব্য কোনো আলোচনা শুরু হলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ও ‘মারাত্মক তৎপরতা’ নিশ্চিত করার জন্য তাতে তাদের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আরব শান্তি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সৌদি আরবের শর্তের কথা ফের উল্লেখ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।